বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি : তদন্ত কর্মকর্তাদের হাইকোর্টের তলব

  23-05-2018 04:18PM

পিএনএস ডেস্ক : আলোচিত বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি মামলার সব তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন উচ্চ আদালত। আইনে নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে মামলাগুলোর তদন্ত শেষ না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী বুধবার বেসিক ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৬ মামলার সব তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বেসিক কেলেঙ্কারির মামলায় ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি ফজলুস সোবহানসহ বেশ কয়েকজনের জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত এ আদেশ দেন। ধার্য তারিখে তদন্ত কর্মকর্তাদের মামলার নথিপত্র, সিডিসহ আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ফজলুল হক। জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আবদুল মতিন খসরু প্রমুখ।

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১২০ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৭ কর্মকর্তা, ১১ জরিপকারী ও ৮২ ঋণগ্রহণকারী ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। গত বছর আরও ৫টি মামলা করে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৫৩ শতাংশ (৭ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা), যা যেকোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হারের চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বেসিক ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ২০১৩ সালের মার্চে তা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। ওই চার বছর তিন মাসে ব্যাংকটি ৬ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়, যার প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকাই নিয়ম ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হলে শুরুতে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ঘটনা চিহ্নিত হলে সরকার ব্যাংক পুনর্গঠনে বাধ্য হয়। প্রথমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়। ২০১৪ সালের ২৯ মে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ জুলাই অর্থমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে পদত্যাগপত্র দেন শেখ আবদুল হাই বাচ্চু।

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন