পিএনএস ডেস্ক : অপমানিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ মানহানি মামলা করতে পারে না বলে মত দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মামলার শুনানিতে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মতামত দেন।
শুনানি শেষে রংপুর ও জামালপুরে দায়ের করা মানহানির দুই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। একই সঙ্গে মামলা দুটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলার নথি হাইকোর্টে তলব করা হয়।
বুধবার আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাঁকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট এম মাসুদ রানা।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে রেগে যান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন, তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
মইনুলের এ মন্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আদালতে মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মাসুদা ভাট্টিসহ নারী সাংবাদিকরা মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
পিএনএস/জে এ
মানহানির মামলা অপমানিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ করতে পারে না: হাইকোর্ট
05-12-2018 10:06PM