বিএনপির চার প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন না

  17-12-2018 07:02PM

পিএনএস ডেস্ক : বিএনপির চার উপজেলা চেয়ারম্যান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। নির্বাচন কমিশন থেকে বৈধতা পেলেও তিনজনের প্রার্থিতা সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে আটকে গেছে। এছাড়াও সোমবার আরেকজনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।

এনিয়ে চার উপজেলা চেয়ারম্যান ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

বিএনপির চার উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২০ আসনে বিএনপির প্রার্থী ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন, বগুড়া-৩ আসনের প্রার্থী আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোহিত তালুকদার ও বগুড়া-৭ আসনের প্রার্থী শাহজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদল।

তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশন বৈধ ঘোষণা করলেও হাইকোর্ট তা স্থগিত করেছিল। কিন্তু তার আবেদনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়েছিল চেম্বার আদালত।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। ফলে হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকছে এবং তমিজ উদ্দিন নির্বাচন করতে পারছেন না।

বগুড়ার মোহিত তালুকদার এবং সরকার বাদলের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করায় তাদের ভোটের আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের ওই আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত হয়ে যায়। আপিল বিভাগ সোমবার ওই স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছে।

আপিল আদালতে তিন প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও প্রবীর নিয়োগী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী।

সানজিদ পরে গণমাধ্যমকে বলেন, 'আপিল বিভাগের আদেশের ফলে বিএনপি মনোনীত এ তিন প্রার্থী আর নির্বাচন করতে পারছেন না।'

ওই তিনজনের মধ্যে তমিজ উদ্দিন ও মোহিত তালুকদার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা গৃহীত না হওয়ায় প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। আর সরকার বাদল পদত্যাগ না করেই প্রার্থী হয়েছিলেন বলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

ঢাকা-১ আসনের বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাকের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশনে পেলেও হাইকোর্ট সোমবার তা স্থগিত করে দিয়েছে।

এ আসনে কুলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা বিকল্পধারার জালাল উদ্দিনের করা রিট শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শামীম আহমেদ মেহেদী ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ গৃহীত হওয়ার আগেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যদিও নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বৈধ করেছিল। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন।

ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, কমিশনের এ সিদ্ধান্ত স্থগিত হওয়ায় তিনি আর আপাতত নির্বাচন করতে পারছেন না।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন