বনানীর রেইনট্রিতে ধর্ষণের সাক্ষী ফারিয়া মাহবুবের ইউটার্ন

  11-05-2019 05:37PM

পিএনএস ডেস্ক: জন্মদিন উদযাপনের পার্টির কথা বলে রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মামলায় স্বাক্ষী গ্রহণ চলছে।

চাঞ্চল্যকার এ ঘটনায় ওইসময় সাফাত আহমেদের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীদের পক্ষ অবলম্বন করে ছিলেন। এমনকি তিনি বিচার চেয়ে বাদীর সঙ্গে বনানী থানায় গিয়েছিলেন ঘটনার দুই বছর পর আদালতে এসে পুরোপুরি সাবেক স্বামীর পক্ষ নিলেন।

এথন তিনি বলছেন, বাদীর অভিযোগ সাজানো। আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে শাফাত আহমেদকে ফাঁদে ফেলাই ছিল বাদীর উদ্দেশ্য।

ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা বলছেন, তিনি বাদীর খালাতো বোন নন। আদতে তাঁর বাড়ি ঢাকাতেই নয়। তিনি চট্টগ্রামের মেয়ে, বাড়ি আজকারদিঘির লেনে। বাদী যে সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন, তখন তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন। ফারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৯ নভেম্বর জামিনে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর শাফাত তাঁর সঙ্গে বাদীর মুঠোফোনে চালাচালি হওয়া কিছু বার্তা দেখিয়েছেন। এসব দেখেশুনে তাঁর মনে হয়েছে, বাদীর সঙ্গে আসামির সুসম্পর্ক ছিল। বাদীকে সে রাতে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেনি। তিনি আদালতে দেওয়া আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পর রেইনট্রিতে যে কক্ষে বাদী ও আসামি ছিলেন, সেই কক্ষে রেস্তোরাঁকর্মী খাবার দিয়ে যান। সে সময় বাদী চাইলে সাহায্য চাইতে পারতেন।

বনানীতে বাদী যখন মামলা করতে যান, তখন সঙ্গে গিয়েছিলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ফারিয়া বলেন, বাদী তাঁকে খুঁজে বের করে কান্নাকাটি করেন। সে কারণে তিনি বাদী ও তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে তাঁদের সঙ্গে থানায়ও যান। তবে মামলায় তাঁকে যে বাদীর খালাতো বোন বলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। তা ছাড়া ২০১৭ সালের ৭ মার্চ শাফাত আহমেদ তাঁকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাদী ও আসামি দুজনেই জবানবন্দিতে বলেন, মার্চের মাঝামাঝিতে তাঁদের পরিচয়।

এসব বিষয়ে জানতে বাদী ও তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের সাড়া পাওয়া যায়নি। আদালতে তাঁদের পক্ষে লড়ছেন ফারুক আহম্মেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফারিয়া মাহবুব আবার সংসারে ফিরে যেতে চান। সে কারণে এসব কথা বলতে পারেন। তাঁর উচিত আদালতে এসে কথা বলা। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত বাদী তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি। তাঁরা ন্যায়বিচার চান

২০১৭ সালের ৬ মে বনানী থানায় মামলাটি করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, ওই বছরের ২৮ মার্চ জন্মদিনের পার্টির কথা বলে শাফাত ও তাঁর সহযোগী নাইম আশরাফ তাঁকে ও তাঁর বান্ধবীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। আসামিরা তাঁদের মারধর করেন ও অস্ত্র দেখান। ধর্ষণের আগে তাঁদের নেশাজাতীয় মদ পান করান। বাদী থানায় যে মামলা করেন, সেখানে উল্লেখ করেন, থানায় তাঁর সঙ্গে ধর্ষণের শিকার আরেক বন্ধু ছিলেন। সঙ্গে তাঁর খালাতো বোন ফারিয়া মাহবুবও ছিলেন।

পিএনএস/ এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন