সরাইলে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, যুবককে জেলহাজতে প্রেরণ

পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সরাইলে উপজেলা দুই সন্তানের জননী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক নুরুল আমীন (২৬) কে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। নুরুল আমীন উপজেলার চুন্টা ইউপির ঘাগড়াজোর গ্রামের মৃত আব্দু রউফ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় একই গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে রাহিম মিয়া (২২) ও সাদেক মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৩) কে মামলায় আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পলাতক আছে।

মামলা সূত্রে ও ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, চুন্টার ঘাগড়াজোর গ্রামের নুরুল আমিন একই গ্রামের ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিতো। গত মঙ্গলবার (১৮জুন) গভীররাতে নুরুল আমিন কৌশলে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে সুর-চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে নুরুল আমিনকে আটক করে। খবর পেয়ে অভিযুক্ত চুন্টা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাহিম, ও সাদেক মিয়ার ছেলে, সুহাগ লাঠিসোটা নিয়ে এসে ওই নারীসহ বাড়ির লোকদের মারধোর করে নুরুল আমিনকে ছাড়িয়ে নেয়। এসময় রাহিম প্রবাসীর স্ত্রীর ডান কানের স্বর্ণের জুমকা ছিড়িয়া নিয়ে যায়।


মামলার সূত্রে জানাজায় নুরুল আমিন বিভিন্ন সময় প্রবাসীর স্ত্রীকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল কয়েকবার তার গার্জেন এর কাছে নালিশ দেয়া হই এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে রাত্রে ১২ টার সময় আমি প্রাকৃতিক ডাকে ঘর হইতে বাহির হই এ সুযোগে আমার ঘরে ঢুকিয়া যায় আমি চিৎকার দিতে চাইলে সে আমার মুখে চাপিয়া ধরিয়া আমার কাপড় চোপড় খুলতে থাকেএই অবস্থায় আমার সম্মান রক্ষার্থে কোনরকমে চিৎকার শুরু করলে পাশের ঘর হইতে লোকজন আসিয়া আমার ঘরে আসে নুরুল আমিন কে আমার সহিত ও দস্তাদস্তি অবস্থায় দূরে ফেলে।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ওসি মফিজ উদ্দিন ভূইঁয়া জানান, অভিযোগ পেয়ে নুরুল আমিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল