মিন্নির ২ আবেদন আদালতে খারিজ

  22-07-2019 03:45PM

পিএনএস ডেস্ক : বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর স্ত্রী গ্রেপ্তার আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির দুটি আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। আজ সোমবার সকালে আয়শার চিকিৎসা ও তাঁকে আদালতে উপস্থিত করার জন্য তাঁর আইনজীবী আদালতে দুটি আবেদন করেন।

দুপুর ১২টায় বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী আবেদন দুটি খারিজ করে দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, জেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

মিন্নির আইনজীবী জানান, আয়শা সিদ্দিকার চিকিৎসার এবং আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাখ্যানের আবেদনে তাঁর স্বাক্ষরের দরকার। তাই তাঁকে আদালতে হাজির করতে আদালতের অনুমতি জন্য দুটি আবেদন করা হয়। বিচারক দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন।

একই আদালতে গতকাল রোববার আয়শার জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে দেন।

আয়শার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, ‘আয়শার চিকিৎসা ও আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রত্যাখ্যান আবেদনে তাঁর স্বাক্ষর প্রয়োজন। তাই আমরা আদালতে দুটি আবেদন করেছিলাম। আদালত আবেদন দুটি খারিজ করে দিয়েছেন।’

মাহবুবুল বারী বলেন, ‘আদালত বলেছেন, এই আবেদনের বিষয় কারা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া আয়শার জামিনের জন্য আমরা আদেশের সইমোহর তোলার জন্য আবেদন করেছি। আজ সন্ধ্যায় অথবা কাল এই আদেশ কপি আমরা পাব। যখনই পাব, তখনই আমরা জামিনের আবেদন করব।’

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। গুরুতর আহত রিফাতকে ওই দিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে।

সম্প্রতি মিন্নির শ্বশুর তাঁর ছেলের হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে আলোচনা নতুন দিকে মোড় নেয়। শ্বশুরের এ অভিযোগের পর মিন্নি তা অস্বীকার করে পাল্টা বলেছিলেন, আবদুল হালিম শরীফ ‘ষড়যন্ত্রকারীদের প্ররোচনায়’ পড়ে তাঁকে জড়িয়ে ‘বানোয়াট’ কথা বলছেন।

১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ওই মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ২ জুলাই এই মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন