ক্যাসিনো কাণ্ড: মোহামেডানের লোকমান দুই দিনের রিমান্ডে

  27-09-2019 05:31PM

পিএনএস ডেস্ক:ক্যাসিনোসহ অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক (বিসিবি) লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার(২৭ সেপ্টেম্বর) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্যাসিনো থেকে কোটি কোটি টাকা আয়ের পর তা ভাগভাটোয়ারার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে লোকমানের বিরুদ্ধে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। মামলা নম্বর ৪৫। এরপর তাকে তেজগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়।

২৫ সেপ্টেম্বর রাতে তেজগাঁওয়ের মনিপুরী পাড়ার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মোহামেডান ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন লোকমান। তার এ টাকা অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ ও এএনজেড ব্যাংকে রাখা আছে।

লোকমানের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ওই দুই ব্যাংকে তার ৪১ কোটি টাকা রয়েছে। ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার সুবাদে তিনি মাঝেমধ্যে সেখানে যান।

অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, প্রকৃত সম্পদের চেয়ে তিনি র‌্যাবের কাছে সম্পদের হিসাব কম দেখিয়েছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়াতে তার ছেলে পড়ালেখা করে। সেখানে তার নামেও ব্যাংক হিসাব আছে। সেখানেও লোকমানের মোটা অঙ্কের অর্থ থাকতে পারে। অবৈধ আয়ের মোটা অঙ্কের টাকা অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ ও এএনজেড ব্যাংকে রাখা আছে।

লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ২৬ বছর ধরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুটি পদের অপব্যবহার করেই তিনি ক্লাবটি ক্যাসিনো চালানোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন। প্রায় ২ বছর আগে ওই ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু হয়।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিএনপির শাসন আমলে শুধু ক্রীড়াঙ্গনেই নয়, টেন্ডার বাণিজ্যেও জড়িয়ে পড়েন লোকমান। মতিঝিলের সিটি সেন্টার, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টেন্ডার কাজে নেপথ্যে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন লোকমান ভূঁইয়া।

লোকমানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনে টাকার বিনিময়ে কাউন্সিলরশিপ ও পদ বিক্রি করতেন। বিশেষ করে ফুটবল, ক্রিকেট ও হকির কাউন্সিলরশিপ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন লোকমান ভূঁইয়া। সারাজীবন ফুটবল সংগঠক হিসেবে খ্যাত লোকমান ভূঁইয়া ২০১৩ সালে ক্রিকেট বোর্ডে ঢুকে পড়েন। বিসিবির কর্মকর্তা হয়েই একের পর এক ব্যবসা-বাণিজ্য বাগিয়ে নেন লোকমান ভূঁইয়া।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন