বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে হাইকোর্টের রুল

  01-12-2019 03:04PM

পিএনএস ডেস্ক : ‘ভাড়া নিয়ন্ত্রক’ নিয়োগসহ বাড়িভাড়ার বিদ্যমান অসঙ্গতি দূর করে মানসম্মত বাড়ি ভাড়া নির্ধারণে সুপারিশ প্রণয়নে অনুসন্ধান আইন, ১৯৫৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধান কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১ এর ১৫ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১ ডিসেম্বর) একটি আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এই সম্পূরক আবেদনটি করে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, '১৯৯১ সালের বাড়িভাড়া আইনে ভাড়া নির্ধারণ করার যে পদ্ধতি বলা আছে, সে পদ্ধতি অনুসারে এখন যে বাসার ভাড়া ৩০ হাজার টাকা সে বাসার ভাড়া হবে ৯০ হাজার টাকা। এটাই হলো দেশের প্রচলিত আইন। এ কারণে ভাড়া নির্ধারণের জন্য মালিক এবং ভাড়াটিয়ার মধ্যে যে বিধান ছিল সে বিষয়ে কেউ আদালতে যাচ্ছে না। কারণ এটা অসম্ভব এবং অকার্যকর। তিনি বলেন, আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রক, বাড়ী-মালিক বা ভাড়াটিয়ার আবেদনের ভিত্তিতে, কোন বাড়ীর মানসম্মত ভাড়া নির্ধারণ করিবেন এবং এমনভাবে উহা নির্ধারণ করিবেন যেন উহার বাৎসরিক পরিমাণ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্থিরকৃত উক্ত বাড়ীর বাজার মূল্যের ১৫% শতাংশের সমান হয়।

তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে মানসম্মত ভাড়ার পরিমাণ Premises Rent Control Ordinance, 1986 (XXII of 1986) এর অধীন নির্ধারণ করা হইয়াছে সেক্ষেত্রে অনুরূপভাবে নির্ধারিত মানসম্মত ভাড়া, নিয়ন্ত্রক কর্তৃক সংশোধন বা পরিবর্তন না করা পর্যন্ত, এই ধারার অধীন নির্ধারিত মানসম্মত ভাড়া হিসাবে গণ্য হইবে৷

সম্পূরক আবেদনে আরও বলা হয়, ২০১০ সালের ১৭ মে হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেছিল। দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৫ সালের ১ জুলাই পর্যবেক্ষণসহ জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেয়। কিন্তু রায় প্রকাশের আগেই ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বজলুর রহামনের অকাল মৃত্যু হলে বাদীপক্ষ রায়ের অনুলিপি পাননি। পরবর্তীতে এই রিট মামলাটি বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে হাইকোর্টের এই বেঞ্চে আসে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন