গুজব-গণপিটুনি রোধে উচ্চ আদালতের ৫ নির্দেশনা

  01-03-2020 10:03PM

পিএনএস ডেস্ক : গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনির ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।

গত বছরের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্তানের ভর্তির খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন রেনু। একই মাসে (জুলাই) বেশ কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনাও ঘটে। ওই সময় গণপিটুনি রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত বছরের ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। এই রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন।

১.পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল অফিসার(এএসপি) তার অধীনের প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার(ওসি) সাথে ৬ মাসে অন্তত ১ বার গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠক করবেন।

২. গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেনতা তৈরির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রাখবেন।

৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোন ধরণের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যে দুষ্কৃতকারীরা এ কাজে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৪. যখনই গণপিটুনির কোন ঘটনা ঘটবে কোন রকম দেরি না করে তখনই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবে এবং তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে অবহিত করবেন।

৫. গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনা ঢাকার জেলা শিক্ষা অফিসার, উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবহেলার ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন