ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী ফের রিমান্ডে

  01-11-2020 06:04PM

পিএনএস ডেস্ক : নৌকর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টার মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাময়িক বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ।

এ সময় রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন জনান ইরফানের আইনজীবী। অপরদিকে এ মামলায় আসামিদের দেয়া তথ্য যাচাই করতে ফের তাদের রিমান্ডে নেয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর তাদের প্রত্যেককে ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৫ অক্টোবর রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ২৬ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান।

মামলার পর ওই দিন দুপুর থেকে র‌্যাব সদস্যরা রাজধানীর চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’তে অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযান শেষে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর রাতে দুজনকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২৬ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডিএমপির রমনা গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল টাঙ্গাইল থেকে এ বি সিদ্দিক দিপুকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে একই মামলায় মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমানকে একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

পিএনএস/এসআইআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন