মামুনুল হক ও ফয়জুল করীমের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভাস্কর্য ভাঙচুর: জবানবন্দি

  13-12-2020 08:38PM

পিএনএস ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার দুই আসামি মাদ্রাসা ছাত্র আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) ও সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে গ্রেপ্তার দুই আসামি মাদ্রাসা ইবনে মাসউদ এর হেফজ বিভাগের ছাত্র আবু বক্কর ওরফে মিঠুন ও সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদকে আদালতে তোলা হয়।

কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তারা জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এই নিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি দু’দিনে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে মামলার প্রধান দুই আসামি মাদ্রাসাছাত্র আবু বক্কর ওরফে মিঠুন ও সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেন। তারা মামুনুল হক ও ফায়জুল ইসলামের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরে সিদ্ধান্ত নেয়। ভাঙচুরের ঘটনার ২/৩দিন আগে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

এর আগে মামলার অপর দুই আসামি মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী ও মো. আল আমীনকে চার দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার একই আদালতে জবানবন্দি নেয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয়।

ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কুষ্টিয়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান, শহরের নির্মাণাধীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ও ৪২৭/৩৪ ধারার মামলায় আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানি শেষে মাদ্রাসার দুই ছাত্রের পাঁচ দিন এবং দুই শিক্ষকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদের মধ্যে চার দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের খাস কামরায় গ্রেপ্তার দুই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল আমীন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

শুক্রবার রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। পরদিন শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন