কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যা মামলার রায় আজ

  17-01-2021 05:52AM

পিএনএস ডেস্ক: রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা মামলার রায় আজ রোববার ঘোষণা করা হবে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।

এ মামলার তিন আসামি হলেন নিহত গৃহকর্ত্রীর স্বামী আব্দুল করিম, তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা এবং শ্যালক তথা মুক্তার ভাই জনি। তিন আসামিই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।

রায়ে তিন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করে সরকারি কৌঁসুলি সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা মামলার রায় রোববার দুপুর ১২ টার দিকে ঘোষণা করা হবে। মামলায় তিন আসামি গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি রায়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড হবে।

অপরদিকে আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী রুহুল আমিন খান বলেন, আমরা মনে করি সাক্ষীদের জেরায় এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে, আসামিরা নির্দোষ। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে এই আসামিদের মামলায় জড়িত করা হয়েছে। আমরা চাই মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত আসামিদের বের করে আনা হোক। যেহেতু এই আসামিরা অপরাধী নন, তাই রায়ে তারা খালাস পাবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।

এর আগে ১০ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

২০১৭ সালের ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ নম্বর বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২ নভেম্বর শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামসুন্নাহারের স্বামী আবদুল করিম, তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, শ্যালক (মুক্তার ভাই) জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে আবদুল করিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন। অপর দুজন হলেন- করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।

এরপর ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিদের পরীক্ষা ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলার বিচার কাজ শেষ হয়।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন