শিশু সাঈদ হত্যা: তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

  22-06-2021 02:16PM

পিএনএস ডেস্ক:সিলেট নগরীর শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলায় তিন আসামিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল খারিজ করে মঙ্গলবার রায় দেন বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আসামিরা হলেন- সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা।

হাইকোর্টে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। পুতুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাকিবের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং আতাউর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.সিদ্দিকুর রহমন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে আসামিদের মৃদ্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাদের আপিল খারিজ করা হয়েছে।

২০১৫ সালের ১১ মার্চ শিশু আবু সাঈদ অপহরণ হয়। এর তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিলেট কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও ওলামা লীগ নেতা মাহিব হোসেন মাসুম।

২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মাসুমকে খালাস দিয়ে বাকি তিনজনকে মৃত্যদণ্ড দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অপরদিকে আসামিরাও আপিল আবেদন করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

আবু সাঈদ সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়া বাজারের খশিলা এলাকায়।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন