পিএনএস ডেস্ক : পরকীয়া বা স্ত্রীকে লুকিয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অভ্যেস নতুন নয়। উল্টোটাও ঘটে বহু ক্ষেত্রেই। বিশেষ করে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের বাড়বাড়ন্তে একটি সুখের দাম্পত্যে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ ঘটে যাচ্ছে অতি সহজেই। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের খেয়াল রাখা উচিৎ যেন ৩য় কোন ব্যক্তি প্রবেশ না করে।
স্বামী বা স্ত্রী যদি পরকীয়ায় আসক্ত হয়, তাহলে কিছু লক্ষণে তা প্রকাশ পেয়েই যায়। যতই লুকনোর চেষ্টা চলুক না কেন। আর তখনই সন্দেহ প্রবেশ করে মনের মধ্যে। মনে রাখবেন সন্দেহের কাজ করলেইতো সন্দেহ আসে। আর এই সন্দেহ অপর সঙ্গি মেনে নিতে না পেরে সন্দেহ করাটাকে অভিযোগ হিসেবে দাঁড় করিয়ে মধুর সম্পর্কেকে আরো তিক্ত করে তোলে। ফলে ভেঙ্গে যায়ে এই মধুর সম্পর্ক। ৩য় কাউকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের জীবনটাকেও করে তোলে খামাখা বিষাদপূর্ণ।
মনোবিদদের চিহ্নিত করা সে রকমই কয়েকটি লক্ষণের হদিস রইল পাঠকদের জন্য—
মোবাইল আসক্ত
স্বামী বা স্ত্রী পরকীয়ায় মজে থাকলে প্রথমেই জানান দেয় ফোন। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল নিয়ে কাটানো, যেখানে যাচ্ছে সঙ্গে ফোনটি রাখছে (এমনকী বাথরুমেও), পার্টনারের সঙ্গে ফোনের পাসওয়ার্ড শেয়ার না করতে না চাওয়া।
একা থাকা
নানা অজুহাতে একটা ঘরে একসঙ্গে সময় কাটানো এড়িয়ে যাওয়া। একা থাকতে ভালোবাসা।
মিথ্যা বলা
একটা মিথ্যে ঢাকতে একগুচ্ছ মিথ্যের আশ্রয় নিতে হয়। সে রকমই সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি একটা তুচ্ছ প্রশ্নের উত্তরে একগুচ্ছ বাহানা দিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। বোঝা যায়, তিনি কোনও কিছু ঢাকতে চাইছেন।
ম্যাসেজ ডিলিট করে দেয়
ম্যাসেজ চটজলদি ডিলিড করে দেওয়ার প্রবণতা থাকে। কারণ অন্য কেউ দেখে ফেলবে সেই ভয় থেকেই তিনি এ কাজ করে থাকেন।
অপছন্দ পোশাকটিও পছন্দ হওয়া
কোনও একটি পোশাক তিনি আগে পছন্দ করতেন না। হঠাৎই সেই পোশাকটিই প্রিয় হয়ে গেল।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
যেভাবে বুঝবেন আপনার সঙ্গী পরকীয়ায় আসক্ত
22-10-2016 03:32PM