শিংয়ের আগায় ঝোঁপের বাহার!

  29-10-2016 01:54AM


পিএনএস:বলীবর্দ বা জোয়ান ষাঁড় কখন যে কী করে, তা কে বলতে পারে! শরীরে তার অসীম তাকত। সেই তাকতের আস্ফালন দেখিয়ে সে ক্ষ্যাপার মতো মাঠময় চরে বেড়ায়। হাম্বাস্বরে দুনিয়া কাঁপায় আর শিংয়ের গুঁতোয় ঘাস-মাটি-আল সব ফালা ফালা করে। বিশেষ করে তরুণ ষাঁড়ের মধ্যেই এমন মারমুখী আচরণ বেশি দেখা যায়। গাঁয়ের লোকেরা তাই বলে, ‘ডেকাগরু (জোয়ান ষাঁড়) বাঘও মানে না।’

বনের মুক্ত পরিবেশে বিশাল শিংওয়ালা দশাসই মদ্দা হরিণও ষাঁড়ের মতোই আচরণ করে। হিংস্রতায়, মর্দামিতে সে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের চেয়েও এক কাঠি সরেস! তারই প্রমাণ রেখেছে লন্ডনের রিচমন্ড পার্কের এক মদ্দা হরিণ। ক্ষ্যাপামির এক পর্যায়ে সে পার্কের মাটি ও ঝোঁপঝাড়ের ওপর গুঁতোতে শুরু করে। কিন্তু তাতে হয়েছে হিতে-বিপরীত। আস্ত একটা ঝোঁপ উঠে আসে ওর শিংয়ের আগায়। সেটিকে আর শিং থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারেনি বেচারা। দিনমান শিংয়ের আগায় বিশাল ঝোঁপ নিয়েই পার্কময় চলতে থাকে ওর ছোটাছুটি।

এই দৃশ্য দেখে লোকে বেশ মজাও পেয়েছে। শুধু কি সাধারণ মানুষ? সংবাদমাধ্যমগুলোর সংবাদের শিরোনামেও ‘ব্যাড হেয়ার ডে’ বলে কৌতুকের ছটা: ‘Stag snapped having seriously bad hair day’

আর একটা সংবাদমাধ্যমের শিরোনামও প্রায় অনুরূপ:’ ‘Unlucky stag has a bad hair day’

হরিণটার এহেন দশার ছবিটা তুলেছেন পার্কে বেড়াতে যাওয়া কেভিন পিগনি নামের এক লোক। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, পার্কে ঘুরে বেড়ানো মদ্দা হরিণের এমন কাণ্ড নতুন নয়। প্রায়শই এরা শিংয়ের বাহাদুরি দেখাতে গিয়ে এমন দশায় পড়ে।

প্রজননের বা মিলনের সময়টায় ওদের মধ্যে ক্ষ্যাপামিটা বেশি দেখা যায়। পার্ক কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের ওদের থেকে অন্তত ৫০ গজ দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বলা তো যায় না, ক্ষ্যাপার কবলে পড়লে পিতৃদত্ত প্রাণটাই কখন হয় দফারফা!



পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন