ভালোবাসা দিবস কেমন কাটল?

  15-02-2017 12:32AM

পিএনএস: চারদিকে প্রেমের হাওয়া। বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে ভালোবাসা দিবস। কিন্তু সব প্রেমই কি একরকম?‌ চিরাচরিত উৎসবের মেজাজের বাইরে গিয়ে অন্যরকমের প্রেমে কী কী ঘটল, দেখে নেয়া যাক একনজরে।

❏‌ প্রেসক্রিপশন নয় প্রেমপত্র : লন্ডনের হাসপাতালে‌ চিকিৎসা করতে করতেই জেনিফার নামে এক রোগিণীকে ভাল লেগে গিয়েছিল শচীন্দ্র আমারাগিরির। ভারতীয় বংশোদ্ভূত শচীন্দ্র প্রেমপত্র লিখে বসলেন জেনিফারকে। তবে তাতে বেজায় খাপ্পা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বরখাস্ত করেছে শচীন্দ্রকে। রোগিণীকে প্রেমপত্র লেখায় নাকি হাসপাতালের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

❏ ‌ফ্রম প্রিজন, উইথ লাভ: প্রেম সবার জীবনে আসে। কয়েদিরাই বা বাদ যাবেন কেন? ইংল্যান্ডের করোনেশন স্ট্রিটের জেল পরিদর্শনে ‌গিয়েছিলেন অভিনেত্রী পলা উইলিয়ামসন। তাঁকে দেখেই প্রেমে পড়ে যায় রিচার্ড ব্রসনান। ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্র রাখা এবং অপহরণের অভিযোগে জেল খাটছে রিচার্ড। অভিনেত্রীকে একটি চিঠিতে রিচার্ড লিখেছেন, ‘‌একবার আমাকে বিয়ে করো, আমি সব ছেড়ে ভাল হয়ে যাব। ’

❏ নাক গলিয়ে গালে চড়: এবার থেকে রসিকতা করার আগে দু’‌বার ভেবে নেবেন ভিক্টোরিয়া। সিডনির এই নারী ট্যাক্সি চালককে রাস্তার ওপরেই সপাটে থাপ্পড় মেরেছেন এই তরুণী। ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপনের জন্য এক সঙ্গে বেরিয়ে ছিলেন ওই তরুণী এবং তাঁর প্রেমিক। কোন রেস্তোরাঁয় খাবেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে করতে ঝগড়া শুরু হয় ওই যুগলের। গাড়ি চালাতে চালাতে সেই ঝগড়া শুনছিলেন ভিক্টোরিয়া। ঝগড়ার ফাঁকে তরুণের কথা বলার ভঙ্গি নকল করছিলেন ভিক্টোরিয়া। প্রেমিককে ভ্যাঙানো!‌ সহ্য করতে পারেননি তরুণী। চুলের মুঠি ধরে ভিক্টোরিয়াকে চালকের আসন থেকে নামিয়ে সপাটে থাপ্পড় মারেন।

❏‌ স্বপ্নপূরণ: জন্ম থেকেই পায়ের হাড়ের গড়নের ত্রুটি ছিল তাইল্যান্ডের রুনসি সিমান্টা–র। হাঁটতে তো পারতেনই না। এমনকী, বেশিক্ষণ দাঁড়াতেও পারতেন না। সেজন্য মানসিক অবসাদে ভুগতেন রুনসি। কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কও গড়ে ওঠেনি। অবশেষে স্বপ্নপূরণ। রুনসির প্রেমে পড়েন তাইল্যান্ডের তটরক্ষী বাহিনীর এক কর্মী। এগিয়ে আসেন বন্ধুরাও। ১৪ ফেব্রুয়ারিই রানির মতো সাজিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে রুনসি’র। আনন্দে কেঁদে ফেলেছেন রুনসি। বলেছেন, ‘‌কখনও ভাবিনি, আমার জীবনেও এ সব ঘটবে। ’

❏‌ মরণফাঁদ থেকে দাম্পত্যে: অ্যাডলফ হিটলারে কনসেনট্রেশনে ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছিল এডিথ স্টেইনারকে। সেখানকারই নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন জন ম্যাকে। পাহারা দিতে গিয়েই সুন্দরী এডিথের প্রেমে পড়েন ম্যাকে। দুঃসাহসিক ঝুঁকি নিয়ে এডিথকে নিয়ে পালিয়ে যান ম্যাকে। জার্মানি ছেড়ে আমেরিকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। বিয়ে করেন ১৯৪৬ সালে। ১৪ ফেব্রুয়ারি এই প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন এডিথ এবং ম্যাকে। জানালেন কী ভাবে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কী ভাবে তাঁদের প্রেম এবং বিয়ে।

❏‌ সমকামিতার শাস্তি অনাহার: সমকামিতা নাকি এক ধরনের অসুখ। দাবি মালয়েশিয়ার ইসলামী ধর্মগুরুর। ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে মালয়েশিয়ার রাস্তায় সমান অধিকারের দাবিতে শোভাযাত্রা বের করেছিলেন সমকামীরা। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই নিদান দিয়েছেন ধর্মগুরুরা। তাদের দাবি, না খেতে দিলেই সমকামীরা ‘‌সুস্থ’‌ হয়ে উঠবেন।
সূত্র: আজকাল


পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন