বই পড়ে মনে রাখার টিপস্

  19-11-2017 02:02PM

পিএনএস ডেস্ক: জ্ঞান অর্জনের অন্যতম উপায় হল বই পড়া। জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। বই পড়ার অভ্যাস করা সবার উচিত। কিন্তু বই পড়ার পর তা মনে রাখতে পারেনা অনেকে। কিন্তু অনেককে দেখা গেছে খুব সহজে মনে রাখতে পারে। আবার অনেকসময় দেখা গেছে অনেকে বই পড়ে মনে রাখতে পারেনা। আজকে জুমবাংলার পাঠকদের জন্য রয়েছে বই পড়ে মনে রাখার সহজ কিছু কৌশল। আসুন জেনে নেই কৌশলগুলি কী কী?

১।বই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই। ব্যাপারটা এমন নয় যে, পড়ার জন্য আপনাকে সবচাইতে বেশি বিক্রীত বা অধিকাংশ পাঠকদের দ্বারা সমাদৃত বইটি বাছাই করতে হবে। যেহেতু আপনি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কোর্স সম্পন্ন করার জন্য বইটি পড়তে যাচ্ছেন না, সেহেতু ইচ্ছেমতো বাছাই করুন। আপনার আগ্রহের বিষয়গুলোর ব্যাপারে মনযোগী হোন। তবে হ্যাঁ, অনুবাদ পড়ার ক্ষেত্রে আগে দেখুন ক’জন অনুবাদক দ্বারা অনুবাদ সম্পন্ন করা করা হয়েছে। এরপর পাঠক সমাজের মতামতের উপর ভিত্তি করে আপনি সবচাইতে ভালোটা বাছাই করতে পারেন।

২) একটি বই পড়ার পূর্বে বইটির ব্যাপারে ধারণা নিতে চেষ্টা করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন, বইটির বিষয়বস্তু কী? কী উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে? ঐ সময়টাতে পারিপার্শ্বিক অবস্থা কেমন ছিল? কী কী বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে? সে সময় কোনো যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা বা উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটেছিল কিনা? এবং সাথে সাথে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। এতে করে পড়ার সময় অনেক অপ্রত্যাশিত প্রসঙ্গ খুব সহজেই বুঝে উঠতে পারবেন।

৩) নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন বইটি পড়ার জন্য বাছাই করেছেন? বিনোদনের জন্য, নাকি কোনোকিছু বা কারো ব্যাপারে জানার জন্য? কর্মক্ষেত্রে উন্নতির জন্য, নাকি নতুন কোনো দক্ষতা অর্জনের জন্য? আপনার অবশ্যই ধারণা থাকতে হবে, আপনি কী ধরনের জিনিস বাছাইকৃত বইটি থেকে পেতে যাচ্ছেন। আপনি অবশ্যই হরেক রকম অপ্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে আগ্রহী নন!

৪) আপনার পরিস্থিতি বিবেচনা করে বই বাছাই করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি সামনের ছুটিতে লাদাখ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সেই সুবাদে শঙ্কু মহারাজের ‘লাদাখের পথে’ পড়তে পারেন। কোনোকিছুতে অভ্যাস তৈরির চেষ্টা করছেন, তাহলে চার্লস ঢুহিগের ‘পাওয়ার অফ হ্যাবিট’ পড়তে পারেন। যদিও পারিপার্শ্বিক অবস্থা, নিজস্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সব সময় বই বাছাই করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে বর্তমানের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরো ভালভাবে মোকাবেলা করার জন্য, পরিস্থিতিগুলো আরো ভালভাবে সামাল দেওয়ার জন্য এটি বেশ কার্যকর উপায়।

৫) নন-ফিকশনাল, দক্ষতা বৃদ্ধির বইগুলো পড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা, সম্পাদকের কথা, গ্রন্থবিবরণী, তথ্যসূত্রগুলোতে চোখ বুলাতে পারেন। একটি বই লেখার জন্য লেখককে অসংখ্য বই পড়তে হয়। নানান পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আর এই বিষয়বস্তুগুলোই উপরোক্ত জায়গাগুলোতে উল্লেখ করা থাকে। আগ্রহের বিষয়টির উপর আরো বেশি দক্ষ হওয়ার জন্য এসব বেশ সাহায্য করে থাকে। উপরের বিষয়গুলি মাথায় রাখলে আশাকরি আপনি বই পড়ে সহজে মনে রাখতে পারবেন।

পিএনএন/কামাল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন