ফ্যান্টাসির হাত ধরেই ভাই-বোনের সেক্স!

  13-06-2015 11:26AM

পিএনএস ডেস্ক : তুতো ভাই-বোনের মধ্যে প্রেম এবং ক্রমে সেই সম্পর্ক পূর্ণতা পেয়েছে বিয়ে নামক সামাজিক রীতি (স্বীকৃতি)-র সৌজন্যে৷ বাঙালি সমাজ স্বীকারও করে নিয়েছে তুতো ভাই-বোনের ওই সম্পর্ক৷ এবং, এমন ঘটনা আবার কমও দেখা যায় না বাঙালি সমাজেও৷

তেমনই, আপন ভাই-বোনের মধ্যে সেক্সের সম্পর্কও কম নেই বাঙালি সমাজে৷ এই ধরনের ঘটনা সেভাবে হয়তো প্রকাশ্যে আসে না৷ তবে, কখনও কানাঘুষো, কখনও আবার নিছক সন্দেহের জেরেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় আপন ভাই-বোনের ওই সম্পর্ক৷ শুধুমাত্র তা-ই নয়৷ সমাজ স্বীকার না করলেও, নিজের ছেলের সঙ্গে মায়ের অথবা নিজের মেয়ের সঙ্গে বাবার যৌন সম্পর্কও কখনও কোথাও গড়ে ওঠেনি, তাও নয়৷ বাঙালি সমাজে এমনও দেখা যায়, নিজের মেয়ের সঙ্গে বাবার যৌনতার সম্পর্কের জের পৌঁছে গিয়েছে আদালতে৷ আর, সাম্প্রতিক ঘটনা, ছেলে সমকামী৷ তাই, ওই ছেলেকে আর পাঁচজনের মতো গড়ে তুলতে, সেই ছেলের সঙ্গেই সেক্স করেছেন মা৷ এই ঘটনা এ দেশেরই৷

অন্যদিকে, দূর সম্পর্কের ক্ষেত্রে তো রয়েইছে, তবে তুতো ভাই-বোনের পাশাপাশি এই বাঙালি সমাজেও আপন কাকা-ভাইঝি, মামা-ভাগ্নি, মাসি-বোনপো-র মধ্যে প্রেম-বিয়ে অথবা সেক্সের সম্পর্কও যে নেই, তাও অস্বীকারের নয়৷ তেমনই আবার, বউমা-শ্বশুর অথবা জামাই-শাশুড়ি যৌন সম্পর্কও অস্বীকারের নয় বাঙালি সমাজেই৷ আর, জামাইবাবু-শ্যালিকার তুলনায় দেওর-বউদির সেক্সের সম্পর্ক অধিক পরিচিত বাঙালি সমাজেও, তা কোনওমতেই অস্বীকারের নয়৷ তবে, এমন নানা সম্পর্কের পাশাপাশি আবার সমাজে জায়গা করে নিয়েছে যৌনতা বিষয়ক নানা রকম-ধরনের ‘গল্প’৷ আর, বদলে চলা এই দুনিয়ায় পর্ণোগ্রাফির চাহিদা যে কোন স্তরে পৌঁছে গিয়েছে, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক কম নেই৷

রগরগে ভাষায় যৌনতা বিষয়ক ‘গল্পে’র জন্য বাংলা ভাষায় পরিচিত শব্দ ‘চটি’৷ ইন্টারনেটের সৌজন্যে বাংলায় অথবা, বাংলা উচ্চারনে ইংরেজি অক্ষরে লেখা ওই ‘চটি’-র বিভিন্ন ‘গল্পে’ রয়েছে নিকট আত্মীয় অথবা, পরিজন-পরিচিতের মধ্যে সেক্সের কাহিনি৷ তেমনই, ওই ‘চটি’-তেই কম নেই আপন ভাই-বোন, মা-ছেলে, বাবা-মেয়ের মধ্যে সেক্সের কথাও৷ তার সঙ্গে তো ‘চটি’-তে রয়েইছে, দেওর-বউদি, কাকি-ভাইপো, কাকা-ভাইঝি, মামা-ভাগ্নি, মাসি-বোনপো, শিক্ষিকা-ছাত্র অথবা শিক্ষক-ছাত্রী সহ বিভিন্ন ধরনের সম্পর্কের মধ্যে সেক্সের কথা৷ আর, পর্ণোগ্রাফি? সেখানে তো মা-ছেলে, বাবা-মেয়ে, ভাই-বোনের মধ্যে সেক্স ভিডিও-র জন্য রয়েছে পৃথক পৃথক বিভাগ৷ দেশি হোক অথবা বিদেশি, পর্ণোগ্রাফির জন্য রয়েছে বিভিন্ন রকম-ধরনের ওয়েবসাইট৷ আর, ওই সব ওয়েবসাইটে পৃথক পৃথক ওই বিভাগের সেক্স ভিডিও যাঁরা উপভোগ করেন, তাঁদের সংখ্যাও কম নয়৷ পোষ্য সারমেয় অথবা ঘোড়ার সঙ্গে সেক্স ভিডিও-ও রয়েছে পর্ণোগ্রাফির বিভিন্ন ওয়েবসাইটে৷ তা হলে, কী বলা হবে, এ সব কি বিকৃত মানসিকতা? এ সব কি বিকৃত যৌনাচার?

কলকাতার শেক্সপিয়র সরণির রবিনসন স্ট্রিটের পার্থ দে-র ঘটনাকে কেন্দ্র করে, সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন অংশে কম চলছে না আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক৷ নানা মুনির নানা মত৷ বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন বক্তব্য৷ যদিও, পার্থ দে-র রহস্য ক্রমে আরও ঘনীভূত হচ্ছে৷ এবং, ওই রহস্যের জাল কেটে সত্য উদঘাটনে চলছে পুলিশি তদন্ত৷ কাজেই, পার্থ দে-র সঙ্গে তাঁর দিদি দেবযানীর কোনও যৌন সম্পর্ক ছিল কি না, দেবযানীর সঙ্গে তাঁদের বাবা অরবিন্দ দে-র কোন ধরনের সম্পর্ক ছিল, পার্থ এবং দেবযানীর সঙ্গে তাঁদের মা-বাবার সম্পর্ক কেমন ছিল, সে সব এখনও রহস্যের জালে আবদ্ধ৷ দেবযানীর পোষ্য দুই সারমেয়র সঙ্গে তাঁর কোন ধরনের সম্পর্ক ছিল, যে জন্য তিলে তিলে তিনি মৃত্যুকে আহ্বান করেছেন, সে বিষয়েও কোনও কোনও মহলের সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷

কিন্তু, কেন দেখা দেয় একই পরিবারের কোনও দুই সদস্যের মধ্যে সেক্সের সম্পর্ক? মনোবিদ এবং গবেষক সঞ্চিতা পাকড়াশির কথায়, ‘‘সেক্সের সঙ্গে ফ্যান্টাসি যুক্ত হলে একই পরিবারের কোনও দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক দেখা দিতেই পারে৷ এমন ঘটনা যে সচরাচর দেখা যায় না, তাও নয়৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একই পরিবারে কোনও ভাই-বোন যখন প্রকৃতির নিয়মেই বড় হয়ে উঠছে, সে সময় বোন বা দিদির শারীরিক পরিবর্তন ধরা পড়ে দাদা বা ভাইয়ের চোখে৷ একই পরিবার হওয়ায়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে শরীরিক ওই পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনাও হয়৷ তেমন কোনও কোনও ক্ষেত্রে ভাই-বোনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে৷’’ আপন ভাই-বোনের মধ্যে সেক্সের সম্পর্ক কেন, কীভাবে গড়ে ওঠে, তার পিছনে সেই পরিবারের অভিভাবক অথবা বাবা-মায়ের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কোনও ভাই-বোনের মধ্যে ওই ধরনের সম্পর্কের পিছনে সেই পরিবারের মূল্যবোধ, নৈতিকতাও গুরুত্বপূর্ণ৷

তা হলে, এই ধরনের সম্পর্ক কি বিকৃত মানসিকতার পরিচয়? সঞ্চিতা পাকড়াশি বলেন, ‘‘সমাজে যা গ্রহণযোগ্য নয়, সাধারণভাবে তা বিকৃত হিসেবে গণ্য হয়৷ সেই কারণে, ভাই-বোনের মধ্যে সেক্সের সম্পর্ক বিকৃত যৌনতা হিসেবে সমাজে গণ্য হয়৷ আমরা তো মানুষ৷ পশু নই৷ কাজেই, নৈতিকতা, মূল্যবোধের বিষয়টি আমরা এড়াতে পারি না৷’’ একই সঙ্গে পার্থ দে-র ঘটনার বিষয়ে সঞ্চিতা পাকড়াশি বলেন, ‘‘পার্থ দে-র ডায়েরি অথবা পুলিশের কাছে তিনি যে সব কথা বলছেন, সে সব কতটা সত্য, তা এখনও প্রমাণিত নয়৷ পার্থ দে-র ক্ষেত্রে সমস্যা কবে থেকে শুরু হয়েছে, তাও এখনও জানা যায়নি৷ তাঁর কেস হিস্ট্রি জানার ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে৷ কারণ, পার্থ দে বাদে তাঁর পরিবারের অন্য কোনও সদস্য জীবিত নয় বলেই জানা যাচ্ছে৷ কাজেই, এখনই পার্থ দে-র বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না৷’’


পিএনএস/জে এ মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন