বেসরকারি হাসপাতালে চাকরিতে বাবুল আক্তার

  04-12-2016 11:52AM

পিএনএস ডেস্ক: দীর্ঘ আলোচনার শীর্ষে থাকা সাবেক এসপি বাবুল আক্তার অবশেষে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তার চাকরিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল।

গত ১ নভেম্বর তিনি রাজধানীর মগবাজারে আদ-দ্বীন হাসপাতালে কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে বাবুল আক্তারের শ্বশুর পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, বাবুল আক্তার আদ-দ্বীন হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। তবে তিনি কোন পদে যোগ দিয়েছেন তা তারা জানেন না। প্রতিদিন সকালে বাবুল আক্তার ওই হাসপাতালে যান। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আসেন। বাবুল আক্তার কোথায় ও কোন পদে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন- বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের কাছে গোপন করে যাচ্ছেন।


গত ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করলেও দুজন পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। মুসা নামে বাবুল আক্তারের প্রধান সোর্স এখনও নিখোঁজ। মিতু হত্যার ১৯ দিন পর ২৪ জুন বাবুল আক্তারকে ঢাকার বনশ্রী এলাকায় শ্বশুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন বাবুল আক্তার।


বাবুল আক্তারের পারিবারিক সূত্র জানায়, বনশ্রী এলাকার সবরীম স্কুলে প্লে শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়েছে বাবুল আক্তারের ছোট মেয়ে তাবাসুম তাজনীন টাপুরকে। একই স্কুলে বড় ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহিন ভর্তি হয়েছে প্রথম শ্রেণিতে। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বলেন, মাঝে মধ্যে সকালে বাচ্চা দুটিকে আমি নিজে স্কুলে নিয়ে যাই। আবার ওদের স্কুল থেকে নিয়ে আসি। ছুটির দিন ওদেরকে ওদের বাবা সময় দেয়। বাবুল আক্তারের দুই সন্তান সুস্থ আছেন জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, বড় ছেলেটা মাঝে মধ্যে বুঝতে পারে যে তার মা মারা গেছে। আবারও কখনও বলে, আম্মু কবে আসবে। ছোট মেয়ে টাপুর মাঝে মধ্যেই বলে, আম্মু কী বুড়ি হয়ে বাসায় আসবে। বাসায় এলে আম্মু কী আমাকে চিনতে পারবে- এমন সব নানা প্রশ্ন।


তিনি বলেন, সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাবুলের কিছু না কিছু করতেই হতো। তাই সে নতুন চাকরিতে যোগদান করেছে। এতে বাবুল তার মানসিক চাপ থেকে কিছুটা হলেও বের হয়ে আসতে পারবে। এ ব্যাপারে বাবুল আক্তারের বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, আমাদেরও বাবুল বলেছে, সে কাজ করছে। তবে কোথায় কাজ করছে তা বলেনি। আমরাও চাই, সে কাজ করুক এবং তার আগের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। সব কিছু ভুলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক। সূত্র: কালের কণ্ঠ

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন