‘যারা গুম হয়েছেন বলে প্রচার করা হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছেন’

  04-12-2016 01:58PM


পিএনএস ডেস্ক: যারা গুম হয়েছেন বলে প্রচার করা হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশে গুম বলতে কোন শব্দ নেই।’

রবিবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণের অভিযোগ উঠছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, পুলিশ, র্যাব বা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে ঘর বা কর্মক্ষেত্র বা সড়ক থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ স্বীকার করে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এভাবে তুলে নেয়ার পর কেউ কেউ বাড়ি ফেরেন কদিন পর, কাউকে আবার পরে পাওয়া যায় এখানে সেখানে। কেউ কেউ আবার উধাও হয়ে গেছেন চিরতরে, কারও আবার মরদেহ উদ্ধার হয়।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় ব্যবহার করে মুক্তিপণ আদায় বা অন্য কোনো স্বার্থে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। এদের অনেকে আবার ধরাও পড়েছে নানা সময়।

তবে দেশি এবং বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই দায়ী করে আসছে। তারা বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলে তারা এগুলো করছে, সেটা খুঁজে বের করাও তাদের দায়িত্ব।

যখন আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলছিল তখন জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০টি পরিবার একটি সংবাদ সম্মেলন করছিল। তাদের অভিযোগ, তাদের স্বজনদেরকে গুম করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিষয়টি চিরকুটের মাধ্যমে জানান সাংবাদিকরা। পরে মন্ত্রী কথা বলেন এই বিষয়টি নিয়ে।

মন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের সমস্যার কারণে কেউ কেউ পালিয়ে যায় বা আত্মগোপন করে। কিছুদিন পর আবার এরা ফিরে আসে। এখানে গুম বলতে কোনো শব্দ নেই।’

জঙ্গি দমনের বিষয়ে চিরকুটে পাঠানো এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি দমনে আমরা কতটুকু সফল হয়েছি তা আপনারাই বলতে পারেন।’

চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হক এবং হলি আর্টিজানে হামলার অন্যতম নাটের গুরু হিসেবে চিহ্নিত মারজানের অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা একটু ধৈর্য্য ধরুন, সময় হলেই জানতে পারবেন।’

শহীদ সোহরাওয়ার্দী বঙ্গবন্ধু শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদশনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান মাফুজা খানম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক উত্তম কুমার বড়ুয়া, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের উপাধক্ষ্য শাহাদৎ হোসেন রিপন এবং হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মামুন মোর্শেদ। সূত্র: ঢাকাটাইমস

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন