স্বাধীনতার পর থেকে পাশের হারের পাশাপাশি বেড়েছে বেকারেরে সংখ্যা

  06-12-2016 11:03AM


পিএনএস: স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষার প্রসার বাড়লেও মান সম্পন্ন শিক্ষার বিস্তার ঘটেনি। ৪৫ বছরে বহুগুণে শিক্ষার্থী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, পাশের হারের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। পাশাপাশি তিন ধারার শিক্ষায় সামাজিক বৈষম্য ক্রমাগতভাবে বাড়ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে দেশ ও জাতি গঠনে অভিন্ন শিক্ষা পদ্ধতির সাথে শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান তাদের।

বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে নতুন বই। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে স্কুল মুখি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে বিগত বেশ কয়েক বছরে। পাশাপাশি পাশের হার ও ব্যাপকভাবে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটলেও স্বাধীনতা পরবর্তী লক্ষ্য অনুযায়ী অভিন্ন শিক্ষা পদ্ধতি চালু না হওয়ায় সমাজে শ্রেণী বিভাজন ক্রমশই বাড়ছে বলে অভিমত শিক্ষাবিদদের।

তারা বলেন, ‘শিক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করতে পারছি না। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল যে, আমরা কেবল কতগুলো শিক্ষিত লোক তৈরি করব না, আমরা সমৃদ্ধ মানুষ তৈরি করব। যারা সামাজিক ও সৃষ্টিশীল মানুষ হবে।’

অহরহ শিক্ষক লাঞ্ছনার পাশাপাশি মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উদাসীনতা বাড়ায় শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে যাবার প্রবণতা দেখা দিয়েছে আশঙ্কাজনকহারে।

একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বর্তমানে দেশে প্রায় অর্ধেক স্নাতকই বেকার। স্নাতকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আর কাজের বাজারের চাহিদার মধ্যে বিশাল ফারাক থাকায় ক্রমাগত বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষায় কিছুটা বিনিয়োগ বাড়লেও শিক্ষার গুণগত মান বাড়েনি বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।

৪৪ বছরের অভিজ্ঞতা শেষে সময় এসেছে মাতৃভাষার মাধ্যমে সর্বস্তরে একটি যুগোপযোগী অভিন্ন শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা, এমনটিই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। সূত্র: সময় টিভি

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন