রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে পারি না: প্রধানমন্ত্রী

  07-12-2016 10:55PM

পিএনএস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সীমান্ত খুলে দিয়ে আমরা কাউকে স্রোতের মতো বাংলাদেশে আসার সুযোগ করে দিতে পারি না।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের তিনটি সীমান্ত পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় নয় সীমান্ত পুলিশ নিহত হয়। এরপর থেকে রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত জেলাগুলোতে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। অভিযানের সময় সেনা সদস্যরা রোহিঙ্গাদের হত্যা, নারীদের ধর্ষণ ও তাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করে। কিছু কিছু রোহিঙ্গা রাতের আঁধারে বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে সক্ষম হলেও অধিকাংশ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বললেন।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের আসার মতো পরিস্থিতি যেন না হয়, সেই পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া নানা ফাঁক-ফোকর গলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের জীবনধারণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের ভূমিকাসহ সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের আন্তরিকতা এবং নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার কারণে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জঙ্গিবাদ নির্মূলে সব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে জঙ্গিবাদ অন্যতম অন্তরায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষ সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তার নজির পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।

সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ আজ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশকে পরবর্তী শীর্ষ এগারো অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঠিক এসময় একটি অপশক্তি বাংলাদেশের উপর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ছায়া বিস্তার করে চলেছে।



পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন