'মনতাজকে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার পর বন্দুকযুদ্ধ'

  10-12-2016 06:12AM

পিএনএস ডেস্ক : কেরানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুজনের মধ্যে মনতাজুল ইসলামকে (৪০) হাসপাতাল থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী নাজমা আক্তার।
তবে পুলিশের দাবি, নিহত দুজনই ডাকাতি ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
বুধবার রাতে গ্রেফতারের পর আরও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় দুপক্ষের বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে পড়ে মনতাজুল ইসলাম ও তার সহযোগী সবুজ (৩৮) মারা যান বলে দাবি করে আসছে পুলিশ।
মমতাজের স্ত্রী নাজমা আক্তার বলেন, 'মনতাজ অসুস্থ ছিল। চিকিৎসার জন্য ওয়ারী সালাউদ্দিন স্পেশালিস্ট হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ৩০ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে তাকে তুলে নেয় পুলিশ। এরপর ধামরাই থানার এসআই সিকান্দার ফোনে স্বামীর সঙ্গে আমার কথা বলান এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান। এসব কথোপকথন আমার মোবাইলে রেকর্ড করা আছে।'
তিনি প্রশ্ন রাখেন, 'এক সপ্তাহে আগে গ্রেফতার ব্যক্তি কিভাবে কেরানীগঞ্জে অস্ত্রসহ ধরা পড়েন? ধামরাই থানা পুলিশ কি তাহলে তাকে ছেড়ে দিয়েছিল?'
নাজমা আক্তার আরো বলেন, 'আমার জানামতে, আমার স্বামী পুলিশ হেফাজতে ছিল।'
তবে মনতাজের সঙ্গে নিহত অপর যুবককে তিনি চেনেন না বলে জানান।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, নিহতরা ডাকাতি ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া নতুন রাস্তার মোড় থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি বাদী হয়ে মামলাও করে।
তিনি জানান, দুজনের স্বীকারোক্তি মতে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে অন্য সহযোগীরা তাদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এসময় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুঁড়লে তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
মনতাজের স্ত্রীর অভিযোগের বিষয়ে ওসি বলেন, 'মনতাজের স্ত্রী যে অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয়। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় ফোনে কথা বলার সুযোগ নেই। তিনি মোবাইলে যে কথপোকথনের বিষয়ে বলেছেন এটা অন্য কারো হতে পারে অথবা ভূয়াও হতে পারে।'
এদিকে মনতাজের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গ থেকে নাজমা আক্তারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ লাশ বুঝিয়ে দেয়।
তবে ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও অপর যুবক সবুজের লাশ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ সহকারী শ্যামল লাল বলেন, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সবুজের লাশ মর্গে রাখা হবে। এ সময়ের মধ্যে কেউ লাশ বুঝে নিতে না আসলে পুলিশ লাশটি দাফনের জন্য আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করবে।
সূত্র: যুগান্তর

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন