সারাদেশে তীব্র শীত, চুয়াডাঙ্গায় ৪ জনের মৃত্যু

  16-01-2017 11:40AM


পিএনএস ডেস্ক: তীব্র শীত আর কুয়াশায় বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চলসহ প্রায় সারাদেশ। বইছে কনকনে ঠাণ্ডার সঙ্গে উত্তরে হাওয়া। আক্ষরিক অর্থেই ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’র মতো পরিস্থিতি। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকটি জেলায় গতকাল রবিবার তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে নেমে আসে। শীতের দাপটে লোকজন যেমন কাহিল; তেমনি প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা নামার আগেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে জনপদ। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে ভুগছে খেটে খাওয়া মানুষসহ বৃদ্ধ-শিশুরা। শীতবস্ত্রের জন্য হাহাকার চলছে বিভিন্ন জেলায়। শীতে মৃত্যুর খবরও আসছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল এ উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আবহাওয়া দফতর জানায়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৬ দশমিক ৭, নওগাঁর বদলগাছিতে ৬ দশমিক ৮, নীলফামারীর ডিমলায় ৬ দশমিক ৬ এবং পনচগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।


জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা জানান, উপজেলায় তীব্র শীতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত ৯ টার সময় উপজেলার উথলী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম জুড়োন (৬২) ও গঙ্গাদাসপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিন কবিরাজ (৬৫) এবং গতকাল রবিবার সকালে ধোপাখালী গ্রামের নজরুল ইসলাম (৭০) ও তেঁতুলিয়া গ্রামের ছমিরন নেছা (৭৫) শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে তাদের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।


গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহের কারণে হাড়কাঁপানো শীতে উপজেলার জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে গত ৩ দিনে জীবননগরের আকাশে খুব একটা সূর্যের দেখা মেলেনি। এ কারণে ক্রমেই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। উপজেলায় মাথাব্যথা, কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালীর প্রদাহ ও সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কনকনে শীতে সন্ধ্যায় বাজার-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যাচ্ছে না।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন