স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বির্তক

  22-01-2017 08:27PM

পিএনএস : মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রিয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান(অবসর প্রাপ্ত কর কমিশনার) আমাকে বলছেন‘ আর কয়দিন বাচবা, যে কয়দিন আছো জাতিকে কিছু দিয়ে যাও’। বলছিলেন বই লেখা প্রসঙ্গে। বঙ্গবন্ধু, আওয়ামীলী , মানবতা বিরোধী অপরাধ,ভাষা আন্দোলন সহ ৮টি বই গত দুই বছরে তাকে লিখে দিয়েছি। আমি উনার কথার উত্তর দিতে গিয়ে বললাম‘ জাতিকে যা দেয়ার ১৯৭১ সালেই দিয়েছে। দুই ভাই ও বাবাকে দিয়ে আমি গত ৪৫ বছর যাবত তিলে তিলে মরছি। আমি মরে গেলে আমার দুটি সন্তান দাঁড়াবার মত অবস্থাও থাকবে না। আর কি দিবো জাতিকে’? ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের সন্তান আমি। তবে আমার পরিবারের শহীদদের নাম সরকারি তালিকায় নেই। এক ভাইয়ের নাম হয়তো এখনও আছে বাংলাদেশ আনসারের অফিসে।

ঐ ভাই ছিলেন আনসার মুক্তিযোদ্ধা। এরশাদ সরকার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আনসারদের একালিন কিছু ভাতা দিয়েছিল। তখন আমি পেয়েছিলাম ৬ হাজার টাকা। এইতো পাওয়া। যাক সেসব কথা। দুঃখের বিষয় হলো যে, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হয়ে গেলেও কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আর কে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সেই বির্তকটি থেকেই গেলো। ক’দিন আগে সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম যে, মাননীয় নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেছেন, যারা সামনাসামনি যুদ্ধ করেছেন তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক একটি সংবাদ মাধ্যমকে কিছুদিন আগে বলেছিলেন, তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হালনাগাদ করছে।

আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই তা চূড়ান্ত করা হবে বলে ঘোষণা রয়েছে। তিনি বলেন,“এই ১৬ ডিসেম্বরের আগে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের ঘোষণা দিলেও তা করতে পারছি না, এজন্য দুঃখিত। তবে আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই এই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।” তালিকা চূড়ান্তের আগে ‘লাল মুক্তি বার্তা’র বাইরে সবগুলো তালিকাই যাচাই-বাছাই করা হবে জানিয়ে মোজাম্মেল বলেন, লাল মুক্তি বার্তায় যাদের নাম আছে তাদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। বিগত বিএনপি সরকারের পাশাপাশি গত আওয়ামী লীগ সরকারের তালিকা নিয়েও বিতর্কের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য নতুন করে ১ লাখ ২৩ হাজার আবেদন পাওয়া গেছে। মন্ত্রী বলেন, “অনেক অভিযোগ পেয়েছি। যুদ্ধ না করেও ভুল তথ্য দিয়ে অনেকে সনদ নিয়েছেন। এই অপকর্মের চক্র গড়ে উঠেছিল, আমরা ভুয়া সনদগুলো বাতিল করছি।

“আগুন লাগলে আগে আগুন নেভাতে হবে, পরে খোঁজ নেওয়া হবে কে আগুন দিয়েছিল,” বলেন মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল। মুক্তিযোদ্ধা সনদধারী প্রায় ৫০ হাজার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, উপজেলা পর্যায়ের কমিটি দিয়ে এগুলো যাচাই করা হবে। নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনে একটি খসড়া নীতিমালা করা হয়েছে। শিগগিরই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। “মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করে সফটওয্যারের মাধ্যমে তা তথ্যভান্ডারে যোগ করা হবে। এই কাজটি শেষ হলে সবাইকে সনদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।” নতুন করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নে মন্ত্রণালয়ের কোনো কার্যক্রম থাকবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন করে ভুয়া কেউ মুক্তিযোদ্ধা হবেন কি না তা নির্ভর করবে উপজেলা কমিটির ওপর।

একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গত ১৩ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা ঠিক করে সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্তে কোনো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী দেখা হবে না জানিয়ে মোজাম্মেল বলেন, “কেউ জামায়াত করলে তো তাকে আমরা বাদ দিতে পারব না। আবার কেউ আওয়ামী লীগ করছে বলেই তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।” সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত দলিলের তথ্যানুযায়ী, স্বাধীনতার পর কয়েকজন সেক্টর কমান্ডার ও সাব-সেক্টর কমান্ডারদের প্রকাশিত বইয়ে নিয়মিত বাহিনীর ২৪ হাজার ৮০০ এবং অনিয়মিত বাহিনীর ১ লাখ ৭ হাজারসহ মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৮০০ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য করা হয়।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯৮ সালের আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের চার-পাঁচটি তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নিলেও তা চূড়ান্ত রূপ পায়নি। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরী বিভিন্ন সেক্টরের তথ্য নিয়ে একটি তালিকা ভলিউম আকারে প্রকাশ করেন, যাতে ৭০ হাজার ৮৯৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকাভুক্ত করা হয়। বাকি ৬০ হাজার ৯০৪ জন কোন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক মমিনউল্লাহ পাটোয়ারীর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রথমবারের মতো একটি তালিকা করে। ওই তালিকাটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ‘লাল বই’ নামে সংরক্ষিত রয়েছে।

বর্তমানে এই তালিকায় ১ লাখ ৫৪ হাজার জনের নাম থাকলেও সবার নামে গেজেট প্রকাশিত হয়নি বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী। এই ‘লাল বই’য়ে আমিন আহমেদের তালিকার বেশিরভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত হলেও কিছু নাম বাদ পড়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিগত চারদলীয় জোট সরকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে দায়িত্ব না দিয়ে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব সা’দত হুসাইনের নেতৃত্বে চারজন সচিব ও খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি জাতীয় কমিটি করে। এই কমিটির দায়িত্ব ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরি করে সরকারকে সুপারিশ করা, যাদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

ওই জাতীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২০০২ সালের ৪ মার্চ সশস্ত্র বাহিনীর ৩৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নামে ‘বিশেষ গেজেট’ এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নামে ‘গেজেট’ প্রকাশ করা হয়। বিএনপি সরকার নতুন করে আরও ৪৪ হাজার জনকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে মোট ১ লাখ ৯৮ হাজার জনের নামে গেজেট প্রকাশ করে। চারদলীয় জোট আমলে ৭২ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকায় সন্নিবেশিত করা হয় বলে জাতীয় সংসদে অভিযোগ তোলেন তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম। এরপর ২০০৯ সালের ১৩ মে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

তবে বিএনপি সরকারের মতো তাজুল ইসলামও জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের নিয়ে কমিটি করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব দেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে ডিসি-ইউএনওদের কাছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুই বছরেও ডিসি-ইউএনওদের নেতৃত্বের কমিটি তালিকা যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে না পারায় মন্ত্রণালয় এবং এ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির হস্তক্ষেপে অভিযুক্ত ৬২ হাজার জনের তালিকা এবং নতুন করে আরও ১ লাখ ৪৫ হাজার জনের নাম অন্তর্ভুক্তির তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

কিন্তু ওই সময়কার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে থাকায় এই যাচাই-বাছাইয়ের কাজ আর এগোয়নি বলে সংসদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এরপর গত আওয়ামী লীগ সরকার ২০১০-২০১২ সালে আরও ১১ হাজার জনকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে মোট দুই লাখ নয় হাজার জনের নাম তালিকাভুক্ত করে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা শুরু হলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের বৈঠকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর কয়েক সচিবের সঙ্গে কয়েকশ’ সরকারি কর্মকর্তাসহ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ ও গেজেট বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যা চলমান রয়েছে। নতুন সংজ্ঞার আলোকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্ত হওয়ার জন্য গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়া হয়।

নতুন করে তালিকাভুক্ত করা বিএনপি সরকারের ৪৪ হাজারের বেশিরভাগ এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তালিকাভুক্ত করা ১১ হাজারের অর্ধেকই ভুয়া বলে অভিযোগ বর্তমান মন্ত্রীর। লাল বইয়ের পদ্ধতি/প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সব স্তরের নির্বাচিত কমান্ডারদের সঙ্গে সব স্তরের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পৃক্ত করে কমপক্ষে দুই/তিন স্তর কমিটি রেখে তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের সুপারিশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। হয়তো এই যাচাই-বাছাই আরো চলবে বা চলতেই থাকবে।

শুরুতেই বলেছিলাম যে, আমার ভাইয়ের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নেই আর কোন দিন তালিকাভুক্ত হবেও না। আমার ভাইয়ের মত এমন হাজারও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকায় নেই, হয়তো আর তালিকায় উঠবেও না। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। খুব বড় পরিসরে না দেখলেও আমার এলাকা কিশোরগঞ্জে। দেখেছি আমার আপন ভাই ছাড়াও মামাতো ভাই আবুল হাসেম, মামা আবু আলী, চাচাতো ভাই তাজুল, প্রতিবেশি বোরহান, আমির হোসেন, আমিন মাষ্টার, শহীদ মাষ্টার, আমার প্রাইমারি স্কুলের স্যার মহিজ মাষ্টার আরো অনেক অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে। দেখেছি যুদ্ধ আর গুলাগুলি। মহান আল্লাহ হয়তো আমাকে কষ্ট করার জন্যই বাচিয়ে রেখেছেন।

যুদ্ধে সময় কত গুলি আমার মাথার উপর দিয়ে গেছে তার কোন শেষ নেই। পাক হানাদাদের হাত থেকে বাচার জন্য ইটখোলা থেকে শুরু করে জঙ্গলে গিয়েও লুকিয়েছি। যাক সেসব কথা। দেখেছি কত লাশ, নদীর পারে বাড়ি হওয়ায় পানিতে প্রতিদিন কত লাশ ভেসে যেতে দেখেছি। দেখেছি বড়ইতলার গণহত্যা। তারপর স্বাধীন বাংলাদেশে দেখেছি কত মুক্তিযোদ্ধাকে ধুকে ধুকে মরতে। আমার মামাতো ভাই আবুল হাশেম ১৫ বছর পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্ট করে মরেছেন। মরার পর কাফনের কাপড়ের খরচও সরকার থেকে পাওয়া যায়নি। মামা আবু আলী এখনও জীবিত, ঘরে বসেই দিন কাটান। এই মুক্তিযোদ্ধা বাজারে বাজারে ফেরি করেছেন। সুখিয়ার লতিফ ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রিকসা চালিয়ে জীবন-জীবকা করে অবশেষে মারা গেছেন। তার ছোট দুই ভাই মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধের ময়দানেই পাক হানাদারদের গুলিতে শহীদ হয়েছেন।

যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, লুঙ্গি আর কোমড়ে গামছা বেধে হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করেছেন তাদের কষ্টের সীমা নেই। যারা শহীদ হয়েছেন তারাতো রক্ষা পেয়েছেন, আর যারা জীবত তাদের মধ্যে কেউ দীনমুজুর, কেউবা রিকসা চালক, কেউ কেউ ভিক্ষা করেন,এইতো চিত্র। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, যারা মাঠ পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা তাদের বেশির ভাগই গ্রামের সাধারণ ও দরিদ্র পরিবারের। ধনীর দুলালরা ক’জনই বা মুক্তিযোদ্ধা? সম্প্রতি দেখা গেলো কিছু শীর্ষ পর্যায়ের আমলা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নত হয়েছেন।

হবেনইতো, তারাতো ধনীর দুলাল। এখন মুক্তিযোদ্ধা সেজে সরকারি ভাবে সুযোগ-সুবিধা নিতে চান। গরীরের কথা কেউ কি বলতে চান? আমার এই লেখাটা হয়তো কোন পত্রিকায় ছাপাবে না। কারণ আমি কোন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী বা কথিত নামকরা লেখক নই। এটাই এদেশের বাস্তবতা। মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধার দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ভাবে মহল বিশেষ সুবিধা নিচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যাওয়া আর ক্ষমতায় ঠিক থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আর বিপক্ষের লড়াই চলছে আরো হয়তো চলবে। কিন্তু প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যারা রক্তদিয়ে জাতিকে একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেলো বা দিয়েছে তাদের খবরই বা ক’জন রাখেন?
-লেখকঃ সাংবাদিক

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন