মানুষ হত্যাকারীদের সাথে কোন আপষ নয়: শিল্পমন্ত্রী

  18-02-2017 08:27PM

পিএনএস, ঝালকাঠি প্রতিনিধি : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মুক্তিযদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক। এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ হতে হবে। সত্যকে সত্য বলে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করার আহবান জানান শিল্পমন্ত্রী। গতকাল শনিবার দুপুরে শিল্পকলা অডিটরিয়ামে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তি উৎসবের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, দেশকে ধ্বংস করার জন্য খালেদা জিয়া আন্দোলনে নামে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। এই হত্যাকারিদের সাথে কোন আপষ নয়। তাদের বিচার করতে হবে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠু এবং পবিত্র থাকতে হবে। মিথ্যাচার ও গুজব থেকে দূরে থেকে জঙ্গিবাদের উৎপাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। এ লড়াই কারো একার নয়, এটা দেশবাসীর সকলের লড়াই বলেও দাবি করেন তিনি। জঙ্গীরা এখনও হাল ছেড়ে দেয়নি তারা ঘাপটি মেরে আছে এব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া জঙ্গীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়েছেন। তিনি জঙ্গীদের সঙ্গী।

বাংলাদেশকে উন্নত করতে হলে এই জঙ্গীর সঙ্গী খালেদা জিয়াকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একই হাতের এপীঠ ওপীঠ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণমাধ্যম ও শেখ হাসিনার সরকার একসাথে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও যুদ্ধাপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। আমরা জয়ী হয়েছি, তারা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। এ লড়াই এখনো চলছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুবর্ণ জয়ন্তি উৎস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম, পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান ও পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার প্রমুখ।

ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের ৫০ বছর পূর্তী উপলক্ষে ক্লাবের সামনে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী মঞ্চে জাতীয় পতাকা, প্রেস ক্লাবের পতাকা ও সুবর্ণ জয়ন্তির পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তি উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। পরে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় সাংবাদিক, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশ নেন। পরে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংবাদিকদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠান।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন