নিম্নমানের গ্যাস সিলিন্ডার মৃত্যুর কারণ

  22-02-2017 09:06AM


পিএনএস, এবিসিদ্দিক: নিম্নমানের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যু থামছেই না। প্রতিক্ষণ দেশের কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটছেই। যেন মৃত্যুসঙ্গী বোমা ঘরে নিয়েই বসবাস করতে হচ্ছে। গত এক বছরের দুর্ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিমাসেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কোথাও না কোথাও কেউ না কেউ মারা গেছেন। জানুয়ারি মাসে শুধু রাজধানীতেই চারটি বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

এতে মানুষের মৃত্যুসহ সম্পদেরও ক্ষতি হয়েছে। গত এক বছর এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এমন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে এসেছেন কমপক্ষে ৫০জন। এর মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন। বাসাবাড়িতে বা শিল্প-কারখানায় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন।

কিন্তু কেন ঘটছে এ ধরনের ঘটনা, কীভাবে এই অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং এ জন্য আসলে কারা দায়ী সে বিষয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোনো উদ্যোগই নেয়নি এ পর্যন্ত। বাংলাদেশে বাসাবাড়িতে এবং বিভিন্ন যানবাহনে যেসব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে তার একটি বড় অংশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় এগুলো বিস্ফোরিত হতে পারে। প্রতিটি সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। দশ থেকে ১৫ বছর।এরপর সেগুলো ধ্বংস করে ফেলতে হয়।

কিন্তু দেশে গাড়িতে যেটা ১০ বছর বা ১৫ বছর আগে লাগানো হয় সেটা চলতেই থাকে। একই অবস্থা বাসাবাড়ির বোতল গ্যাসের। সেগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে। বাংলাদেশে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যারা ব্যবসা করছেন তারাই আবার এই সিলিন্ডার পরীক্ষার সনদ দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে সিলিন্ডার বিক্রিকারী কোম্পানিগুলো বলছে, সচেতনতা ও অসতর্কতার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটছে। সরকারিভাবে সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। গ্রাহকদের সচেতন করার বিষয়েও নেই কোনো কিছু। এমনকি কোম্পানিগুলো যে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে ভরে বিক্রি করছে তারও যাচাই-বাছাই করার সুযোগ কম। এলপি গ্যাস ব্যবহারের নীতিমালা না থাকার কারণেই এই সমস্যার কোনো সমাধানও হচ্ছে না।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন