উচ্ছেদ হকারদের বিদেশে কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা

  23-02-2017 07:03AM



পিএনএস : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা হকারদের বিদেশে পাঠিয়ে সেখানে কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বুধবার জাতীয় সংসদে জানালেন এই পরিকল্পনার কথা।
সরকারি দলের ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য তাঁদের আবেদন পাওয়া সাপেক্ষে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শ্রমিক হিসেবে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মাঠপর্যায়ে জরিপ করে গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায় দুই হাজার ৫০২ জন হকারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এটি হালনাগাদের কাজ চলছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অংশীজনদের (স্টেকহোল্ডার) নিয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের আলোকে পরীক্ষামূলকভাবে গুলিস্তান, মতিঝিল, দিলকুশা, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজ ও মিরপুরে হলিডে মার্কেট করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকার তালিকাভুক্ত হকারদের ছাতা ও ভ্যানগাড়ি সরবরাহ করার কাজ চলছে।
সম্প্রতি রাজধানীকে হকারমুক্ত করার উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকার হকারদের ইতোমধ্যে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন এবং প্রতিদিন ছয়টার পর হকাররা বসার অনুমতি পেয়েছে। তবে এই সময়ের ব্যবসায় জীবন ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হকাররা। ফুটপাত ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন এর প্রতিবাদে আন্দোলনও করেছে। তাদের দাবি, ফুটপাতের এই ব্যবসার সঙ্গে লাখো মানুষের জীবিকা জড়িত। এজন্য সরকারের কাছে মানবিক দিক বিবেচনা করে হকারদের উচ্ছেদ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে সরকার যেকোনো মূল্যে রাজধানীকে হকারমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। তাই হকারদের বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে তাদের বিদেশে নেয়ার পরিকল্পনা সরকারের।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ঢাকার জলাবদ্ধতা সম্পর্কে বলেন, ‘১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেই রাজধানী তলিয়ে যায়-এ কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়। ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি ৩০ মিনিটের কম সময় হলে সাময়িক জলজট হতে পারে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে ৮৭ শতাংশ জনগণ সুপেয় পানির সুবিধার আওতাভুক্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে ৯৯ শতাংশ জনগণ মৌলিক স্যানিটেশনের অন্তর্ভুক্ত। এরমধ্যে ৬১ শতাংশ জনগণ উন্নত ল্যাট্রিন, ২৮ শতাংশ জনগণ যৌথ ল্যাট্রিন এবং ১০ শতাংশ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন।’

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন