যাত্রাবাড়ীতে জুতার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

  27-02-2017 05:51PM

পিএনএস(মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল): রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়কে সামাদনগর চৌরাস্তা এলাকায় জুতার সোল ও জুতা তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার ফলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এবং এলাকার জনসাধারণের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট সেখানে কাজ করেছে। আগুন লাগার ঘটনায় হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

আজ সোমবার বেলা ১১.১৫ মিনিটে ‘ক্ল্যাসিক নাবিল’ নামের টিনশেডের কারখানায় প্রথমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কিছু সময়ের ব্যবধানে এ আগুন পাশের জুতার কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার ৩০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, কারখানায় আগুন নেভানোর নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা নেই। আগুন নেভাতে প্রশিক্ষিত কোনো জনবলও নেই। কারখানায় প্রবেশের রাস্তাটি এত সরু যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেখানে ঢুকতে পারছিল না।

তিনি আরো বলেন, আগুন পুরোপুরি নির্বাপণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। কারখানায় প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ রাখায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। বেলা আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি । তদন্তের পর বোঝা যাবে কেন আগুন লেগেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান জীবন জানিয়েছেন, আজ সকালে কারখানার ভিতরে জুতা রাখার দ্বিতল স্থাপনা তৈরির কাজ চলছিল। ওয়েল্ডিং মেশিনের বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলার সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ আশপাশে স্তূপ করে রাখা ফোমের ওপর পড়ে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কারখানাতে দুই শিফটে প্রায় ২৫০ শ্রমিক কাজ করেন। কারখানার ভেতরে মোট ১২টি মেশিন আছে। আটটি মেশিনে জুতার সোল তৈরি ছাঁচ বানানো হয়। বাকি চার মেশিনে সোল তৈরি করা হয়। কারখানার পাশের লাগোয়া আরেকটি কারখানায় এই সোল দিয়ে জুতা বানানো হয়। দুই কারখানার মালিক আপন ভাই। স্থানীয় বাজারসহ বড় বড় কয়েকটি কোম্পানির জুতা ও জুতার সোল এই দুই কারখানায় তৈরি করে সরবরাহ করা হয়।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন