জনতা ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষা ফের নেওয়ার দাবি

  22-04-2017 07:30PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে আবারও পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করেছেন পরীক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন তাঁরা।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি করা হয়। সমাবেশে প্রায় হাজারখানেক পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ পরীক্ষার্থীদের ব্যানারে এই আন্দোলন হলেও অংশগ্রহণকারীরা বেশির ভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে রকিবুল হাসান বলেন, শুক্রবার জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ছিল। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই অনেকের কাছে প্রশ্নপত্র চলে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে অনেকেই প্রশ্নপত্র পেয়েছেন। কিন্তু সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ বিষয়টি অস্বীকার করার চেষ্টা করছে। এভাবে চললে মেধাবীরা কখেনাই নিয়োগ পাবেন না। যারা এসব করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। আর এই পরীক্ষা বাতিল করে আবার পরীক্ষা নেয়া উচিত।

শুক্রবার রাজধানীর ইডেন কলেজ, লালমাটিয়া কলেজ ও সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজ কেন্দ্রে জনতা ব্যাংকের এই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেছিলেন। এ ছাড়া ইডেন কলেজে পরীক্ষা দেওয়া এক ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়; যিনি স্বীকার করেন পরীক্ষা শুরুর ২০ থেকে ২৫ মিনিট আগেই তিনি প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন।

তবে এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সত্য নয়।

তবে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে রোকনুজ্জামান, জায়েদ ইমরুলসহ আরও কয়েকজন সমাবেশে বক্তব্য দেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে একটা নিয়োগ পরীক্ষায় লাখো ছেলেমেয়ে অংশ নেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে মেধার আর কোনো মূল্যায়ন থাকে না। তাঁরা দাবি করেন, প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হয়েছে, সেটা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। কাজেই এই পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।

২০১৬ সালের ১০ মার্চ ৮৩৪টি পদের বিপরীতে জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা বা এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। ২৪ মার্চ সকাল ও বিকেলে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আড়াই লাখ প্রার্থী তাতে অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। শুক্রবার ৯ হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

পিএনএস : জে এ মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন