পিএনএস : শুরু হয়েছে চিকনগুনিয়া ভাইরাস প্রতিরোধে সপ্তাহব্যাপী ‘ক্রাশ কর্মসূচি’। এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকনগুনিয়া ভাইরাসের বাহক এডিস মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলায় এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
অনুষ্ঠানে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, চিকনগুনিয়া ভাইরাস নিয়ে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ সময় সপ্তাহব্যাপী ক্রাশ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করার জন্য নগরবাসীকে আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, সারা দেশে এই মৌসুমে মাত্র ১৫০ জন চিকনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এই সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সেই বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
এই কর্মসূচির পর ‘এ ব্লক মিলনায়তনে’ বিজ্ঞানভিত্তিক সেমিনারের আয়োজন করে বিএসএমএমইউ। বেলা সাড়ে ১১টায় বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে এই সেমিনার শুরু হয়।
সেমিনারে বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, চিকনগুনিয়া অসুখে মানুষ মারা যায় না। কিন্তু এ জ্বর যার একবার হয়, সে কখনো ভুলতে পারে না। তাই মশা নিধন অভিযান খুবই জরুরি।
সেমিনারে বক্তব্য দেন অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মুনশি, সহযোগী অধ্যাপক তানভির ইসলাম, প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. কামাল, সহযোগী অধ্যাপক আবু শাহিন।
অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মুনশি বলেন, ‘আমাদের এখানে সাধারণত সেপ্টেম্বরের দিকে এই ভাইরাসটা দেখা যায়। তবে এ বছর মে মাসেই ৪৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যেখানে মে মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। এর মধ্যে ঢাকাতে ২ শতাংশ ও সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে খুলনায়, সাড়ে ৭ শতাংশ।’
চিকনগুনিয়া জ্বর সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত থাকে। তবে তিন-চার দিন পর আবারও হতে পারে। এই জ্বরের উপসর্গগুলো জানিয়ে তানভির ইসলাম বলেন, এই জ্বরে গিরাব্যথা হয়, শরীরে র্যাশ দেখা দেয়, পা ফুলে যায়। এই জ্বরে ওষুধ হিসেবে প্যারাসিটামল খাওয়াই যথেষ্ট। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
মো. কামাল বলেন, জ্বর হওয়ার পর চিকনগুনিয়া কি না, তা অ্যান্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে জ্বরের পাঁচ থেকে সাত দিন পর শনাক্ত করা যায়।
এ ছাড়া সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক এ এ জহির, সানিয়া তাহমিনা, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল।
খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, মশা নিধনে যথেষ্ট পরিমাণ ওষুধ ছিটানো হবে ক্রাশ প্রোগ্রামে। এটা পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা নির্ণয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি করা উচিত। ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে ঢাকার ১৫ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে।
পিএনএস/জে এ /মোহন
চিকনগুনিয়ায় আতঙ্কের কিছু নেই : সাঈদ খোকন
21-05-2017 05:52PM