১০১ কি.মি. বেগে ভোর ৩টায় আঘাত হানতে পারে

  29-05-2017 11:51PM

পিএনএস, কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ শক্তিশালী আকার ধারণ করে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নৌ-বাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১০১ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’।

এদিকে, ‘মোরা’য় চট্টগ্রাম ও কক্সাবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়া অধিদফতরের ১২ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে একথা বলা হয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর এ সতর্কতা কেন্দ্র বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মোরা’র আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। তীব্র বেগে আছড়ে পড়া ‘মোরা’ আঘাতস্থলে স্থায়ী হতে পারে সর্বোচ্চ ১ মিনিট পর্যন্ত। তবে ঝড়ের গতিবেগ এর চেয়েও বেশি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ শক্তিশালী আকার ধারণ করে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসার আগে শ্রীলঙ্কায় ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দেশটির অন্তত ২০১ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এ প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির অন্তত ৫ লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাব ও বজ্রপাতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। বিহারের এটি গ্রামীণ এলাকার বাজারে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ও অরুণাচল প্রদেশে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।

এর আগে গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-ঘরের ছাদ পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। এতে ব্যাহত হয়েছে অন্তত ৫ লাখ ৫৭ হাজার মানুষের স্বাভাবিক জীবন। এদের অনেকেই দেশটির রাবার চাষের সঙ্গে জড়িত।

এদিকে, ‘মোরা’র প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন