দৃষ্টি ফিরে পাচ্ছেন না সিদ্দিকুর

পিএনএস ডেস্ক: পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত তিতুমীর কলেজের আহত ছাত্র সিদ্দিকুরের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শ্যামল কুমার সরকার। শনিবার দুপুরে সিদ্দিকুরের দুই চোখে অস্ত্রোপচার শেষে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তাদের লাঠিপেটাও করা হয়। ওই দিন পুলিশের ‘কাঁদানে গ্যাসের শেলের’ আঘাতে আহত হন তিনজন।

এদের মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুল হাসানকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেসময় ঢামেক চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ওয়াসেক বীন শহিদ জানান, আহত ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানের দুই চোখে গুরুতর আঘাত আছে। দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে। এজাহারে শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানের আহত হওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, মিছিলকারীদের ছোড়া ফুলের টবের আঘাতে তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. সিদ্দিকুর রহমানের (২৩) দুই চোখ জখম হয়।

আহত ছাত্রের সহপাঠীদের দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তবে শিক্ষার্থীদের এ দাবি অস্বীকার করে বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জানিয়েছিলেন, পুলিশের টিয়ারশেলে নয়, ছাত্রদের ছোড়া ফুলের টবের আঘাতে আহত হন সিদ্দিকুর রহমান।


পিএনএস/আলআমীন