ভোটার তালিকা হালনাগাদ: রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে কী করা হচ্ছে?

  25-07-2017 11:40AM


পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার থেকে। সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই কার্যক্রম আজ থেকে চলবে আগামী ৯ই আগস্ট পর্যন্ত।

এরপর ২০শে আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর নাগরিকদের নিবন্ধন চলবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ কোটি ১৮ লাখ ভোটার রয়েছে। বিবিসির খবর।

নির্বাচন কমিশন বলছে, দেশের যেসব এলাকায় রোহিঙ্গা বসবাস করছেন সেসব এলাকার জনগণকে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। উদ্দেশ্য রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিবন্ধন ঠেকানো।

বিশেষ সতর্কতা কী?

বিবিসি বাংলার শায়লা রুখসানাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলছিলেন, হালনাগাদ কর্মসূচিতে রোহিঙ্গা অন্তর্ভূক্তি ঠেকাতে তারা কয়েকটি এলাকায় কমিটি গঠন করেছেন।

‘গত তালিকায় অর্থাৎ ২০১৫ সালে করা তালিকায় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় বিশেষ করে কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকায় যে হারে বৃদ্ধি হবার কথা অর্থাৎ আড়াই শতাংশ হারে হবার কথা থাকলেও সেখানে ছয় থেকে সাত শতাংশ বেশি দেখা গেল। এরপর ভোটার তালিকার খসড়া বাতিল করে নতুন করে প্রণয়ন করা হয় এবং কিছু এলাকা বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়’।

নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘চিহ্নিত হওয়া বিশেষ এলাকায় বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সুপারিশ ছাড়া নতুন কেউ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। আমাদের মূল লক্ষ্যই ছিল যারা বাইরে থেকে আসছে অর্থাৎ যারা বাংলাদেশের নাগরিক না তাদের ভোটার হওয়া থেকে বিরত রাখা’।

এইবার বিশেষ এলাকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কিছু অংশ, রাঙামাটির কয়েকটি উপজেলা, বান্দরবানের সবকটি উপজেলা ও কক্সবাজারের সব উপজেলা মিলিয়ে মোট ৩০টি উপজেলা। ওই এলাকার জনগণকে ভোটার করার জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এই কমিটি কিভাবে কাজ করবে?

নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, দেশের যেসব এলাকায় রোহিঙ্গা বসবাস করছেন সেসব এলাকার জনগণকে ভোটার হতে হলে তার বাবা-মা, ফুফু, চাচার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। এগুলো প্রমাণিত হলে তাদের ভোটার করা যাবে।

রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে কতটা সফল হওয়া সম্ভব?

সতর্কতার সঙ্গে কমিটি কাজ করলে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তি ঠেকানোর কাজে সফল হওয়া সম্ভব।কিন্তু অভিযোগ আছে অনেকে টাকা-পয়সার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র করার ব্যাপারে সহায়তা করে থাকেন স্থানীয় অনেকে।

এ বিষয়টি স্বীকার করে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন ‘এমন অভিযোগ শোনা যায়। আগে এমনটা হতো। এখানে জন্ম নিবন্ধনের বিষয় আছে, অনেকের জন্ম নিবন্ধন করা আছে। এদেশে বিয়েশাদী করেছে। পরিবার হয়েছে। স্থানীয়রা তাদের সহযোগিতা করে। কিন্তু আমাদের যে কমিটি আছে যারা আছেন, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা অনুযায়ী সবাই কাজ করলে এখন ভোটার তালিকায় বহিরাগত কেউ থাকার সুযোগ নেই’।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন