জীবন বাঁচাতে ৮০০ ভারতীয় ঢুকছে বাংলাদেশে

  16-08-2017 01:24AM

পিএনএস ডেস্ক: বন্যার পানিতে মৃত্যুর হাত থেকে জীবন বাঁচাতে ৮০০ ভারতীয় নারী-পুরুষ-শিশু বাংলাদেশের লালমনিরহাটের দুই গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় এসব ভারতীয় লোকজন একাধিক গ্রামে স্থানীয় লোকজনের বাড়ি, ফাঁকা জায়গা ও পাকা রাস্তার ওপর আশ্রয় নেয়।

আশ্রয় নেয়া বছির উদ্দিন (৭৫) বলেন, পানির তীব্র স্রোতের কারণে ভারতের ভেতরের দিকে যাওয়ার উপায় ছিল না তাদের। আবার তাদের আবাসস্থল ‘জারি ধরলা’ চরে থাকলে নিশ্চিত ধরলার বন্যার পানিতে ভেসে যেতে হতো বাংলাদেশি ও বিজিবির সদস্যরা আমাদের ঢুকতে না দিলে কয়েক শ লোকের নিশ্চিত মৃত্যু ঘটত। যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন বিজিবি ও বাংলাদেশের মানুষের কথা মনে রাখব।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয়দের বাড়ি ও পাকা রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। তাদের একজন জারি ধরলা চরের বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা আর্জিনা খাতুন (৩৫)। তিনি তিন মেয়ে, এক ছেলে আর স্বামী ইকুল হকসহ (৪৪) দুর্গাপুরের কুমারপাড়ায় উঠেছেন। দিল্লির এক সেলাই কারখানার শ্রমিকের স্ত্রী একই গ্রামের এক সন্তানের মা মেহের বানীও (২৩) এসেছেন।

চার শিশুসন্তান নিয়ে বাংলাদেশি ফজলুল হকের বাড়িতে আশ্রয় নেয়া ছামিদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশিদের সাহায্যে ভারতীয় গীতালদহের দরিবাস ও জারি ধরলা দুই গ্রামের প্রায় ৮০০ মানুষ বেঁচে গেছে। এ দেশে ঢোকার সুযোগ না দিলে এসব লোক ধরলার ভয়ংকর বন্যায় ভেসে মারা যেত।’

মোগলহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ভারতীয় কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার গীতালদহের দরিবাস ও জারি ধরলা চর দুটিতে প্রায় ৫ হাজার লোকজন বসবাস করে। অনেকেই ভারতের ভেতরে চলে গেলেও জীবন বাঁচার তাগিদে কিছু নারী-পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে এসেছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেই ভারতীয়রা নিজ দেশে ফিরে যাবেন।’

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোর্শেদ বলেন, পাঁচ শতাধিকের মতো ভারতীয় নারী-শিশু ও পুরুষ বাংলাদেশে এসেছে। আশ্রয় নেয়া লোকজনের খোঁজ-খবর রাখছে বিজিবির সদস্যরা।



পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন