ঢাকা-বরিশাল রুটে ঈদে ৩০টি নৌযান চলবে

  23-08-2017 11:38AM


পিএনএস: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে ৩০টি নৌযান চলাচল করবে। সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন এসব নৌযান ঈদের স্পেশাল সার্ভিসের প্রথম দিন থেকে ঢাকা-বরিশালের নৌ-বহরে যুক্ত হবে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো বহরে রাত্রিকালীন সার্ভিসে যুক্ত হয়েছে অ্যাডভেঞ্চার-১ ও আধুনিকায়ন শেষে সুন্দরবন-১১।

জানা গেছে, ঈদ সার্ভিসের লঞ্চগুলোর মধ্যে সুন্দরবন- ৮, ১০, ১১,১২, সুরভী- ৭, ৮, ৯, পারাবত- ২, ৯, ১০, ১১, ১২, এমভি টিপু-৭, এমভি ফারহান-৮, কীর্তনখোলা-১,২ দীপরাজ এবং কালাম খান-১, তাসরিফ-১,৪ অ্যাডভেঞ্চার-১, দেশান্তর ও গ্রীণলাইন ২,৩সহ ২৪টি লঞ্চ থাকবে। তবে ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে থেকে চারটি লঞ্চ ভায়া হিসেবে বরিশাল নদী বন্দর হয়ে গেলেও ঈদের সময় চাপ থাকায় এগুলোকে বরিশাল নদী বন্দরে ঘাট দিতে দেওয়া হয় না।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ বরিশালের উপ-পরিচালক আজমল হুদা সরকার মিঠু জানান, বরিশাল-ঢাকা রুটে সরাসরি দিবা ও রাত্রীকালিন সার্ভিস মিলিয়ে ১৯টি লঞ্চ রয়েছে। তবে ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ২৪টি লঞ্চের ঢাকা-বরিশাল রুটে সরাসরি যাত্রীসেবা দেওয়ার কথা রয়েছে। যাত্রীদের প্রয়োজনে আরও দু-একটি লঞ্চ সংযোজন করা হতে পারে। এছাড়া ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ৩০ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি জাহাজ সার্ভিসে ছয়টি নৌযান বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচল করবে।

তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে লঞ্চে ও টার্মিনালে সিসি-ক্যামোরার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি নৌ-পুলিশ, সাদা পোশাকধারী পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, মেরিন ভলান্টিয়ার ও স্কাউট সদস্যরা বন্দর এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে।

যাত্রীদের আর্চওয়ে দিয়ে টার্মিনালে প্রবেশ এবং বাহির হতে হবে।

আজমল হুদা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্ঘটনা এড়াতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের রুটগুলোতে বাল্কহেড, কার্গো চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। অতিরিক্ত যাত্রীবহন করা নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, এমভি মধুমতি ও এমভি বাঙালি জাহাজের পাশাপাশি রকেট সার্ভিসে ছয়টি নৌযান ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে যাত্রীসেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন