এবার বাংলাদেশের আকাশ সীমায় মিয়ানমারের ড্রোন

  16-09-2017 12:02PM

পিএনএস ডেস্ক: রোহিঙ্গা সঙ্কটের মধ্যে আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে কয়েক দিন পরপরই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ছে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার ও ড্রোন, যা নিয়ে আবারও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঢাকায় মিয়ানমারের শার্জ দি অ্যাফেয়ার্স অং মিন্টকে শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিভাগের মহা পরিচালকের দপ্তরে ডেকে একটি প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়।

গত ১০, ১২ ও ১৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের ড্রোন ও হেলিকপ্টারের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে প্রবেশের কড়া প্রতিবাদ জানানো হয় সেখানে।

২৫ অগাস্টের পর থেকে দফায় দফায় আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ওই পত্রে। সেই সঙ্গে এ ধরনের আচরণ বন্ধের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারের প্রতি জোরালো দাবি জানানো হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মিয়ানমারকে সতর্ক করে বাংলাদেশ বলেছে, তাদের এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি’ ডেকে আনতে পারে।

গত ২৪ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল শুরু হয়।জাতিসংঘের হিসাবে এ পর্যন্ত চার লাখের মত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তা ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে।

এই উত্তেজনার মধ্যে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার গত ১ সেপ্টেম্বর তিন দফা বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানায়। তার পরেও বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর আকাশযান বাংলাদেশের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে, যার ছবি সংবাদমাধ্যমে এসেছে।

বাংলাদেশ সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে জড়ো হওয়া রোহিঙ্গাদের দিকে গুলি ছোড়ার পাশাপাশি সীমান্তের নিজেদের অংশে ভূমি মাইনও পুঁতেছে মিয়ারমার।

গত ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে স্থলমাইন বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হন; যাদের মধ্যে এক বাংলাদেশিও রয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব দিয়ে নিরাপদে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবও পাস করা হয়।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের মধ্যেই ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণ তুলে ধরে তা নিরসনের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাব তুলে ধরবেন বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন