ঢাকাকে নান্দনিক নগরীতে রূপান্তর করা হবে: শিল্পমন্ত্রী

  19-10-2017 06:07PM

পিএনএস ডেস্ক: অপরিকল্পিভাবে গড়ে ওঠা ঢাকা শহরকে একটি নান্দনিক নগরীতে রূপান্তর করা হবে। এ লক্ষ্যেই শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ কথা জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বৃহস্পতিবার ৪৮তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বিএসটিআই ভবনে ‘নান্দনিক নগরায়নে মান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ কথা জানান। সরকারি মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এই আলোচনার আয়োজন করে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠা প্লাস্টিক, মুদ্রণ, কেমিক্যাল ও হালকা প্রকৌশল শিল্প কারখানাগুলোকে ঢাকার বাইরে পরিকল্পিত শিল্পনগরীতে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিসিকের আওতায় খাতভিত্তিক পৃথক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলেই হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তর সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিএসটিআই’র মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও বিএসটিআই’র পরিচালক (মান) আ ন ম আসাদুজ্জামান বক্তব্য দেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, নান্দনিক নগর নির্মাণের সঙ্গে নির্মাণসামগ্রীর গুণগতমান জড়িত। নির্মাণ কাজে মানসম্মত সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা বিএসটআিই’র দায়িত্ব। এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নির্মাণসামগ্রীর গুণগতমান পরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের অসাধুতার আশ্রয় নিয়ে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর অনুকূলে মানসনদ দিলে তা ক্রেতাদের জন্য ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এলাকাভিত্তিক কাঁচামাল ও শিল্প সম্ভাবনা বিবেচনা করে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশব্যাপী যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও কানেকটিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে সরকার পায়রাবন্দর, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, অর্থনৈতিক জোনসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে রাজধানী ঢাকা থেকে শিল্প কারখানা স্থানান্তরিত হবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আসবে। এসব উদ্যোগের ফলে গুণগত শিল্পায়ন ও নগরায়নের চলমান ধারা বেগবান হবে।

মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, নান্দনিক বা স্মার্টনগর গড়ে তোলার জন্য নগরবাসীর চিন্তায় পরিবর্তন আনা জরুরি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে স্মার্ট নগরী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোবাইল কন্ট্রোল সড়ক বাতি চালু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার এলইডি স্ট্রিট লাইট স্থাপনের পাশাপাশি ৯০ শতাংশ সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। নগরবাসীর শরীর চর্চা ও বিনোদনের জন্য আগামী বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিকমানের ১২টি খেলার মাঠ ও ১৯টি পার্ক নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হবে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ওয়াসার দায়িত্ব হলেও নাগরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন একাজে সহায়তা করবে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন