তিন বেলার কঠিন জট

  20-10-2017 09:54AM

পিএনএস ডেস্ক : তিনবেলা নিয়ম করে গাড়ির জট লাগে। ছুটির দিন বাদে প্রতিদিনই একই অবস্থা। স্বল্প দূরত্বের ভাড়াও দ্বিগুণ হয়ে যায়। রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সময়সূচি একই হওয়ায় দিনের তিন বেলা প্রচণ্ড যানজট হয়। এর প্রভাব পড়ে আশপাশের এলাকার সড়কেও।

কবির খানের অফিস উত্তরায়। সকাল ৭টায় বের হন। দেড় ঘণ্টা সময় লাগে শুধু ধানমন্ডি থেকে বের হতেই। তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডি চার নম্বরে গিয়ে বাসে উঠি। কিন্তু ৮ /এ থেকে ৪ নম্বর যেতে এই সময়ে রিকশা ভাড়া দিতে হয় ৪০ টাকা। শুধু এই জ্যামের জন্যই। ৭টার পরে সাতমসজিদ রোডে একটা গাড়িও নড়ে না।’

গত মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, জিগাতলা থেকে শংকর পর্যন্ত যানবাহন পিঁপড়ার গতিতে এগোচ্ছে। এ সময় স্কুলের সকালের পালা (শিফট) শুরু হয়। ধানমন্ডির বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই আবাসিক এলাকায়। স্কুলগুলোর নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা নেই। ধানমন্ডি ৭ /এ তে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একেকটা স্কুলে শিক্ষার্থী চার-পাঁচ শর কম না। এদের সবাই যদি গাড়ি নিয়ে বের হয়, কী অবস্থা হতে পারে! তাও আমরা চেষ্টা করি কোনো গাড়ি যেন সড়কে দাঁড়াতে না পারে।’ তিনি বলেন, ধানমন্ডি ৯ /এ,৭ /এ, ৭ নম্বর, ৮ নম্বর ও ৩২ নম্বরে সবচেয়ে বেশি যানজট হয়। সকাল সোয়া ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এই চাপ থাকে। বেলা ১১টার পর ও দুপুর ২টায় আবার এই চাপ শুরু হয়।

মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউর এক সড়কেই বেশ কয়েকটি বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানেও দিনের তিন বেলা যানবাহনের জট লাগে। স্কুলের সময়টাতে সড়কের একপাশে গাড়ি পার্ক করা থাকে—যদিও ‘এখানে পার্কিং নিষেধ’ সংবলিত সাইনবোর্ড টানানো আছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য এক গাড়ির চালককে বারবার সরে যেতে বলছিলেন, কিন্তু শিক্ষার্থীর অপেক্ষায় থাকা গাড়িটি সরেনি। তিনি বলেন, দুই সারি করেও গাড়ি রাখার চেষ্টা করে। এখন সেটা করতে দেন না। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অনেক সড়কপথে বাস চলে। আসাদ অ্যাভিনিউ হয়ে অনেক বাস চলাচল করে। স্কুলের সময়টাতে পুরো সড়ক স্থবির হয়ে যায়। এর প্রভাব মিরপুর রোডেও পড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক বলেন, ‘বাচ্চাকে তো একা ছাড়তে পারি না। গাড়ি ছাড়া উপায় নাই। পুরো শহরটাই তো জ্যামের।’

ঢাকা ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. শফিকুর রহমান বলেন, একেকটি গাড়ি যদি শিক্ষার্থী নামাতে বা ওঠাতে ১০ সেকেন্ড সময়ে নেয়, সে হিসাবে এখানে যে পরিমাণে গাড়ি আসে তাতে যানজট লাগবেই। সমাধানের ব্যাপারে বলেন, স্কুলগুলোর নিজস্ব পার্কিং নেই। বিকল্প ব্যবস্থাও নেই। তবে বললেন, বিকেলের পর এ সড়ক ফাঁকাই থাকে।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন