মানবিক কারনে বিশ্ববাসীকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়াতে হবে কুতুপালংয়ে জর্ডানের রানী

  23-10-2017 08:33PM

পিএনএস, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : শুধু মানবিক কারনে নয়, ন্যায়বিচারের স্বার্থে মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মূখে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে বিশ্ববাসীকে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সে মানবিকতা দেখিয়েছে তাতে ধন্যবাদ জানায়।

রোহিঙ্গা ইস্যূতে জর্ডান ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে পাশে থাকবে। কক্সবাজারে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন জর্ডানের রানী রানিয়া আল আবদুল্লাহ। তিনি এসময় মিয়ানমার রোহিঙ্গা নিধনকে কে গণহত্যা আখ্যায়িতক করে জর্ডান সরকারের পক্ষ থেকে নিন্দা জানান। গতকাল সোমবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে তিনি সরাসরি উখিয়ার কুতুপালংয়ে পৌছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি মিয়ানমার থেকে নানান নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের অবস্থা দেখেন। পরে কুতুপালং এ জাতিসংঘের যেসব সংস্থা রোহিঙ্গাদের সাহায্য করছে, তাদের সাথে বৈঠকে করেন। রানী রানিয়া আল আবদুল্লাহ ক্যাম্পে আর্ন্তজাতিক এনজিও সংস্থা ইউএনএইচসিআরের পরিচালিত রোহিঙ্গা শিশুদের লার্নিং স্কুল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম পদিরর্শন করেন রানী।

এদিকে রানী রানিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের জন্য কক্সবাজারে ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোর করে প্রশাসন। এ সময় রানীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলো এসএসএফ, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি রানীর সফরের বিশেষ নিরাপত্তায় জোরদার করেন। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর দেড় পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে। রানী রানিয়ার আবদুল্লাহ জর্ডান থেকে বিশেষ বিমানে ঢাকা হয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন রানিয়া আল আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির-আইআরসি’র একজন বোর্ড সদস্য।

তিনি জাতিসংঘেরও একাধিক মানবিক সংস্থার সদস্য। সকাল ১১ টায় তিনি কক্সবাজারে পৌঁছালে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বিমান বন্দরে তাকে বরণ করে নেন। পরে সেখান থেকে তিনি সড়কপথে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌছেন। উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট সহিংসতার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

বলা হচ্ছে, এটা এখন পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে উঠা শরণার্থী সংকট। রাখাইনে মিয়ানমার সেনা বাহিনীর অভিযানে ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ ও একে ‘গণহত্যা’ ও ‘জাতিগত নিধন’বলে উল্লেখ করেছেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন