বন্য প্রাণি পাচারের তালিকায় বাংলাদেশ

  18-11-2017 12:37PM

পিএনএস ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে বন্য প্রাণি পাচারের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি বা ‘ফোকাস’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশসহ ২৬টি দেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশ ছাড়া তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো ব্রাজিল, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, চীন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাওস, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, টোগো, উগান্ডা, আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছ, এই দেশগুলোতে বন্য প্রাণি নিয়ে তিন ধরনের অপরাধ হচ্ছে।

প্রথমত, দেশগুলো থেকে বন্য প্রাণি পাচার হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বন্য প্রাণি পাচারের পথ বা রুট হিসেবে এগুলোর ভূখণ্ড ব্যবহৃত হচ্ছে। তৃতীয়ত, ওই দেশে পাচার হওয়া বন্য প্রাণি ব্যবহৃত হচ্ছে। এই তিনটি অপরাধের যেকোনো একটি যদি কোনো দেশে সংঘটিত হয় তাহলে সেই দেশের নাম ফোকাস দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে সে দেশের পার্লামেন্ট বা কংগ্রেসে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে সেটি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামনের বছর থেকে বিশ্বের এই দেশগুলোর বন্য প্রাণি পাচার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। প্রতিবেদনে কঙ্গো, লাওস ও মাদাগাস্কারের বন্য প্রাণি পাচার নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বন্য প্রাণি পাচার রোধ আইন, ২০১৬ অনুসারে মার্কিন কংগ্রেসে প্রথমবারের মতো ওই বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৯ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, তার প্রধান চারটি বিষয়ের একটি হলো বন্য প্রাণি পাচার রোধ। সংঘবদ্ধ এ অপরাধ চক্র ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

কোন রাষ্ট্রগুলো বন্য প্রাণি চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং কোন কোন রাষ্ট্র এতে মদদ দিচ্ছে, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে কংগ্রেসে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন