‘জন্মযন্ত্রণা’ মেনে নিতে বললেন কাদের

  21-11-2017 08:45PM

পিএনএস ডেস্ক : সড়ক উন্নয়নের কাজে সৃষ্ট দুর্ভোগ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘চার লেন করার একটা যন্ত্রণা আছে, জন্মযন্ত্রণা। আমাদের এটা মেনে নেওয়া উচিত।’

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

সম্পূরক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর বলেন, যানজট হলে বগুড়া থেকে ঢাকায় আসতে ১৬ ঘণ্টা আর অন্য সময়ে অনন্ত ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। এলেঙ্গায় চার লেনের কাজ ধীরগতিতে এগোচ্ছে, কাজ কত দিনে শেষ হবে আর দুর্ভোগ কত দিনে দূর হবে তা তিনি জানতে চান।

জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য দুর্ভোগের কবলে আছেন। জন্মকালের যন্ত্রণাটা কেউ কি অস্বীকার করতে পারবেন? মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার নিয়ে মানুষের কত দুর্ভোগ! কত কষ্ট! আড়াই ঘণ্টার জায়গায় এখন আড়াই মিনিট লাগছে। ধৈর্য ধরতে হবে। একটা বড় রাস্তা করা হচ্ছে। আপনারাও ক্ষমতায় ছিলেন, করেননি। প্রশস্ত রাস্তা করা হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে। রাস্তা করতে একটু সময় লাগে। চিন্তা করতে হবে এবার এক বছরের মধ্যে নয় মাস বৃষ্টি হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণ। তিন দফায় বন্যা, কীভাবে আমরা মোকাবিলা করব এই দুর্যোগের। বৃষ্টির মধ্যে কি কাজ করা যাবে? ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন। সময়মতো শেষ হবে।’

তৃতীয় স্প্যানের পর ৭-১০ দিনের ব্যবধানে স্প্যান বসতে থাকবে

নাভানা আক্তারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিগগিরই পদ্মা সেতুর আরও দুটি স্প্যান বসবে। তৃতীয় স্প্যানটি বসানোর পর ৭ থেকে ১০ দিনের ব্যবধানে একটি করে স্প্যান বসতে থাকবে। এভাবে ৪১টি স্প্যান বসানো হবে।

বেগম উম্মে রাজিয়ার প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকল্পের ৪৮ শতাংশ ভৌত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অক্টোবর পর্যন্ত এ সেতুর উল্লেখযোগ্য প্যাকেজগুলোর ভৌত অগ্রগতির মধ্যে মূল সেতু নির্মাণ ৫১ শতাংশ, নদীশাসন ৩৪ দশমিক ২০ শতাংশ, জাজিরা সংযোগ সড়ক ৯৯ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মাওয়া সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

সব জেলায় রেলওয়ে নেটওয়ার্ক

আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, দেশের সব জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ৪৪টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত। রেলওয়েকে আধুনিক, যুগোপযোগী, নিরাপদ ও সেবামূলক গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবশিষ্ট জেলাগুলোকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

রেলওয়ের চলমান প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০২২ সাল নাগাদ মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, নড়াইল, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, বরিশাল, বান্দরবান ও কক্সবাজার নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।

২০৩০ সালের মধ্যে রেলওয়ের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর শেরপুর, ঝালকাঠী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, পটুয়াখালী, বরগুনা ও মাগুরা নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। এ ছাড়া বাকি জেলাগুলো পর্যায়ক্রমে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

পিএনএস: জে এ মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন