প্যারেড স্কোয়ারের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সালাম গ্রহণ

  16-12-2017 12:27PM


পিএনএস ডেস্ক: যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে জাতি ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় বিদস উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করছেন।

শনিবার সূর্যোদয়ের সময় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকা পুরাতন বিমান বন্দর এলাকায় একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির অনুষ্ঠানমালার সূচনা করা হয়।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এছাড়াও, শনিবার সকাল দশটায় জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ ২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এমপি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণ, সংসদ সদস্যগণ, উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং বৈদেশিক কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত আছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত বিজয় দিবস কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অংশগ্রহণ করেছে।

কুচকাওয়াজে ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১২০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট একটি বৃহৎ জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয়। কুচকাওয়াজের যান্ত্রিক বহরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্বলিত সুসজ্জিত গাড়ী বহর প্রদর্শিত হয়।

এছাড়া সেনাবাহিনীর প্যারাট্রুপারগণ আকাশ থেকে অবতরণ করে কুচকাওয়াজকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। বিভিন্ন যান্ত্রিক বহরের প্রদর্শনীর পরই শুরু হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট ও এরোবেটিক ডিসপ্লেস। বিমান বাহিনীর ফ্লাইপাস্টের নেতৃত্ব দেন এয়ার কমডোর মোহাম্মদ মফিদুর রহমান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

এবারের প্যারেড বিভিন্ন আঙ্গিকে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন ও প্যারেডকে উপভোগ্য করতে সার্বিক সাজসজ্জায় নতুন মাত্রা আনয়ন করা হয়েছে। বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারসহ প্যারেড গ্রাউন্ডে আসার পথে সড়কগুলোতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বিজয় দিবসের চেতনা সম্বলিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়।

মহান বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ সুষ্ঠু ও সার্থক করতে গণপূর্ত অধিদপ্তর, পিডিবি, ঢাকা ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, টিঅ্যান্ডটি, ডেসকো, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পিডব্লিউডি, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও স্থাপত্য অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করেন।

কুচকাওয়াজ শেষে রাষ্ট্রপতি প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সকল কন্টিনজেন্ট কমান্ডারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মহান বিজয় দিবস-২০১৭ উপলক্ষে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সেনাবাহিনী, সদরঘাট এলাকায় নৌবাহিনী এবং মিরপুর ২ নম্বর ষ্টেডিয়ামে বিমান বাহিনীর বাদক দল দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাদ্য পরিবেশন করবে।

এছাড়াও সেনাসদরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বাদক দল কর্তৃক বাদ্য পরিবেশন করবে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৭ ডিসেম্বর নৌবাহিনীর নির্ধারিত জাহাজসমূহ ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা নেভাল জেটি, চট্টগ্রামের নিউমুরিং-এর নেভাল জেটি, খুলনার বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাঁট, বাগেরহাট মংলার দিগরাজ নেভাল বার্থ এবং বরিশালের বিআইডব্লিউটিএ জেটি রকেট ঘাঁট-এ সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য বেলা ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হবে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন