মন্ত্রী ছায়েদুল হকের অবদান দল চিরদিন স্মরণ করবে: কাদের

  17-12-2017 03:49PM


পিএনএস ডেস্ক: সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের সততার ভূয়সী প্রশংসা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘ছায়েদুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত সহকর্মী ছিলেন। তার অবদান দল চিরদিন স্মরণ করবে।’ এ সময় তিনি ছায়েদুল হকের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

রবিবার সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ছায়েদুল হকের প্রথম নামাজে জানাজায় অংশ নেন ওবায়দুর কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তার মৃত্যুতে আমাদের দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এই ক্ষতি কখনো পূরণ হবে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ আমরা অনেকে ধনসম্পদ গড়ি, কিন্তু ছায়েদুল হকের মধ্যে এই প্রবণতা ছিল না। তিনি থাকতেন একটি টিনের ঘরে।’

ওয়ায়দুল কাদের আরো জানান, শুধু তিনিই নন, আওয়ামী লীগে এমন সৎ নেতা অনেক আছেন। কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারেন না, বিয়ে দিতে পারেন না। এটাই হলো আওয়ামী লীগ।’

ছায়েদুল হকের জানাজায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় তার মরদেহে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এরপর হেলিকপ্টারে করে নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নিয়ে যাওয়া হয় মন্ত্রীর মরদেহ। সেখানে আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলা ১১টায় দ্বিতীয় জানাজা এবং তার গ্রামের বাড়ি পূর্বভাগে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি আওয়ামী লীগের টিকিটে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন।

ছায়েদুল হকের জন্ম ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৬৯ সালে এলএলবি পাস করে আইন পেশায় নিজেকে যুক্ত করেছিলেন তিনি।

তার আগে ১৯৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ার পর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকায় ছিলেন।

১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ছায়েদুল হক। এরপর দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

বিভিন্ন সংসদে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ছায়েদুল হক।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন