পিএনএস ডেস্ক: অমর একুশে বইমেলার ১৮তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৩৩টি। এ পর্যন্ত মেলায় নতুন বই এসেছে ২৭০৪টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক (৮৪২টি) কবিতার বই।
এদিন বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে ‘এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহ্মদ/মুজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী/এ কে নাজমুল করিম’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুনতাসীর মামুন, মীজানূর রহমান শেলী এবং সোনিয়া নিশাত আমিন। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।
‘এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহ্মদ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে মুনতাসীর মামুন বলেন, অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহ্মদ বাঙালির সত্যসন্ধ ইতিহাস চর্চার এক অনন্য পুরোধা ব্যক্তিত্ব। অসাম্প্রদায়িক-মানবতাবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা ভাষা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতি, ধর্মনিরপেক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে প্রণয়ন করেছেন অসামান্য গবেষণা।
‘মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ড. মীজানূর রহমান শেলী বলেন, অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী ছিলেন গুণী শিক্ষক, সত্যসন্ধ পণ্ডিত এবং পরিশ্রমী লেখক। ১৯৪৮-৫২ এর ভাষা আন্দোলনের কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক হিসাবে তিনি তৎকালীন রাজন্যবর্গের রোষে পড়েছিলেন। যেখানে রাজনীতি জীবন, যেখানে জীবন মাতৃভাষা এবং জাতীয় অধিকারের মৌল জিজ্ঞাসা; সেখানে অধ্যবসায়ী শিক্ষক হয়েও তিনি বিচ্ছিন্ন, গজদন্তমিনারচারী ছিলেন না।
‘এ কে নাজমুল করিম’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থান করে সোনিয়া নিশাত আমিন বলেন, ড. করিম সম্ভবত উপমহাদেশের সেই পথিকৃৎ সমাজবিজ্ঞানী যিনি সমাজবিজ্ঞানের প্রয়োগপদ্ধতি নিয়ে বিশদ কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষকও। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রগতিমুখীন অভিযাত্রা নিশ্চিত করতে যাঁরা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে নীরবে কাজ করে গেছেন, তাঁদের অন্যতম এ কে নাজমুল করিম।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর বলেন, এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহ্মদ, মুজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী, এ কে নাজমুল করিম- এই তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বাঙালি মুসলমানের সমাজবিকাশের ধারাকে তাত্ত্বিকভাবে চিহ্নিত করেছেন এবং একই সঙ্গে প্রায়োগিক দিশা প্রদানের কাজটিও নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল মো. মাসকুরে সাত্তারের পরিচালানায় আবৃত্তি সংগঠন ‘বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ’-এর পরিবেশনা।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
১৮তম দিনে ১৩৩টি বই
19-02-2018 02:44AM