আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৮ তম জাতীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী

  19-02-2018 11:50AM


পিএনএস, গাজীপুর: গাজীপুরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৮ তম জাতীয় সমাবেশ-২০১৮ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌর এলাকার শফিপুরস্থ আনসার একাডেমীতে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে পুরো এলাকা জুড়ে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমী বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আনসার ও ভিডিপি কর্তৃপক্ষ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সশস্ত্র সালাম জানায় আনসার বাহিনীর একটি চৌকস দল। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হওয়ার পর একটি খোলা জিপে করে প্যারেড পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আনসার বাহিনীর সদস্যরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।

এর আগের অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজের পর কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আনসার সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর এ বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামুলক বক্তব্য দেন তিনি।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে আনসার বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ বাহিনীর ৬৭০ জন সদস্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। একাত্তরে তারা মুক্তিকামী জনগণের মধ্যে ৪০ হাজার অস্ত্র বিতরণ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, এ বাহিনীর ২০ জন বীর সদস্য বাংলাদেশের প্রথম সরকার মুজিবনগর সরকারের শপথের দিনে গার্ড অব অনার দিয়েছিলেন। আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে তাদের স্মরণ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফায় আনসার বাহিনীকে মিলিশিয়া বাহিনীর মর্যাদা দেয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। জাতির যেকোনো প্রয়োজনে আনসার বাহিনী সাহসকিতার সঙ্গে সাড়া দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার আনসার বাহিনীর সদস্যদের জন্য কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে পাঁচ লাখ টাকার অনুদানের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া আহত হলেও অনুদানের ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যাটালিয়ন আনসারদের পারিবারিক রেশনের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। মহিলা থানা প্রশিক্ষিকাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে।

‘এই বাহিনীর কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার ছাড়াও বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আমি জেনে আনন্দিত হয়েছি, ১৫টি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে।’

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন