শিক্ষা প্রশাসনে বদলির হিড়িক, প্রথম পর্যায় ৩০ জন!

  22-02-2018 03:50PM

পিএনএস ডেস্ক : শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় বছরের পর বছর ধরে চাকরি করা এবং অনিয়মের অভিযোগ থাকা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলি শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার এ ধরনের ৩০ জন কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন এলাকার কলেজে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, শিগগির আরও কিছু বদলি করা হবে। সরকারি নিয়ম হলো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দপ্তরে একনাগাড়ে তিন বছরের বেশি রাখা যাবে না। গত বছরের ১০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা করে নীতিমালা জারি করে বলেছিল, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা এখন থেকে একই দপ্তর বা সংস্থায় এক নাগাড়ে তিন বছরের বেশি সময় থাকতে পারবেন না। শুধু তা-ই নয়, কোনো কর্মকর্তাকে একটি দপ্তর থেকে অন্য কোনো দপ্তর বা সংস্থায় বদলিও করা যাবে না। কিন্তু এই নীতিমালা বাস্তবায়ন না করায় সমালোচনা ছিল।

কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব এবং উচ্চমান সহকারী মো. নাসিরউদ্দিনকে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি অভিযোগ নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যাপক ভাবমূর্তি সংকটে আছে। মূলত এই ভাবমূর্তি রক্ষায় এখন অভিযোগ থাকা এবং একই পদে দীর্ঘদিন থাকা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তারই আলোকে আজ ৩০ জনকে বদলি করা হলো। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে সাতজন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁরা হলেন, ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন, বিদ্যালয় পরিদর্শক এটি এম মঈনুল হোসেন, উপপরিচালক ফজলে এলাহী, উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হক, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুদা বেগম, উপ কলেজ পরিদর্শক ও শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ এবং উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অদ্বৈত কুমার রায়।

বদলি হওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা হলেন তদারক ও মূল্যায়ন শাখার পরিচালক মো. সেলিম, উপপরিচালক মেসবাহ উদ্দিন সরকার, এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার, শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকি, খ. ম রাশেদুল হাসান, সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

বাকিরা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত। এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে রয়েছেন। কেউ কেউ প্রভাষক থেকে অধ্যাপক হয়েছেন একই সংস্থায় থেকে। কেউ কেউ আবার পদোন্নতি পেলেও শুধু এখানে থাকার জন্য নিচের স্তরে চাকরি করছেন।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন