১০ বছর মেয়াদে পাসর্পোট পবে প্রবাসীরা

  18-03-2018 07:33AM

পিএনএস ডেস্ক: কুয়েত প্রবাসীদের র্দীঘদিনের সরকারের কাছে দাবী করে আসছেন পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছরের পরির্বতে ১০ বছর করে দেয়া জন্য। কুয়েতে প্রবাসীদের দাবী পুরণ হতে যাচ্ছে বলে জানালেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম।

বৃহস্পতিবার কুয়েতের ইরাক সীমান্তবর্তী এলাকা আবদালিতে উপমহাদেশের প্রখ্যাত বাউল সম্রাট ২১শে পদক প্রাপ্ত কবি শাহ আব্দুল করিমের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে লোক উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

চলতি বছরের জুলাই থেকে দেশে ১০ বছর মেয়াদের পাসর্পোট প্রদান করা হবে এবং সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসে ৭টি দেশকে প্রথম ধাপে ১০ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট দেয়া হবে। তার মধ্যে কুয়েতের নামও রয়েছে।

প্রবাসীদের দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এখানে প্রবাসীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে শ্রমিকদের সময় ও স্বার্থে সেবা দিতে ক্যাম্প করে মাসে দুই দিন পাসপোর্ট সেবা প্রদান করা হবে এবং সে জন্য স্থানীয় বাংলাদেশি প্রবাসীদের সহযোগিতার দরকার হবে। সংগঠনে সভাপতি ওলিদ মো. সেনুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম সুমন সাবলীল প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় উত্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে যারা উপস্তিত ছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহ সগিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিল জনাব আব্দুল লতিফ খাঁন, প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) জহিরুল ইসলাম খাঁন, প্রশানিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম, শাহ আব্দুল করিম স্মৃতি পরিষদ কুয়েত’র প্রধান উপদেষ্টা আবুল হাসেম এনাম, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাতীয় পার্টি কুয়েত’র সভাপতি, মাহমুদ আলী হাজ্বী সংগঠনের উপদেষ্টা লুৎফুর রহমান লুদাই মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু মিহির কান্তি পাল, সংগঠনের উপদেষ্টা এম ডি আব্দুস সেলিম, কুয়েতস্থ সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি সাফায়াত হোসেন পাটোয়ারী, শাহরিয়ার শাহীন, আব্দুল মালেক, আব্দুল হালিম প্রমুখ।

এছাড়াও কুয়েতের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল আহাদ। অনুষ্ঠান সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আবদালীর প্রবাসী বাংলাদেশীরা,।

অনুষ্ঠানের ১প্রথম পর্বে কুয়েত এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আত্মদানকারি সকল শহিদদের প্রতি ১ মিনিট দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। বাউল সম্রাটের ১০২তম জন্ম বার্ষিকীর কেক কাটার মধ্যদিয়ে জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় জমকালো এবং মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের গানসহ বাংলাদেশের বাউল জারি, সারি, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া মুর্শিদী, পল্লী¬গীতি, জালালি, দেশাত্ববোধক গান এবং জনপ্রিয় নৃত্য শিল্পী ওয়ার্দী পালের মনোমুগ্ধকর নৃত্য এবং যাদুকরের যাদু পরিবেশন করে মাতিয়ে রাখেন উপস্থিত দর্শকদের।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন