কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বাতিল হচ্ছে না: এইচ টি ইমাম

  18-04-2018 11:40AM


পিএনএস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বাতিল হচ্ছে না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য কোটাও থাকবে।

অন্যদিকে, সরকারি চাকরিতে একটি অর্থবহ কোটা ব্যবস্থা রাখার পক্ষে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. সা’দত হোসেন। খবর ডিবিসি নিউজ টিভির।

কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মুখে গত বুধবার (১১ এপ্রিল) সংসদে সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকার দরকার নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যদিও অনেক মিডিয়া বলেছে কোটা বাতিল প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছুই না।

তবে কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে দেয়ার কথায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আন্দোলনকারীরা এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানায়। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম জানান, শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ড. সা’দত হোসেন বলেন, সরকারি চাকরিতে একটি অর্থবহ কোটা ব্যবস্থা থাকা উচিত।

মুক্তিযোদ্ধা ও নারী নেত্রী আয়েশা খানম মনে করেন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটা আরও কয়েকবছর থাকা দরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দরকার আছে। কিন্তু সেটা নাতি-পুতি পর্যন্ত টেনে নেওয়াটা ভাববার বিষয়। তবে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কারও সময়ের দাবি বলে মনে করেন তিনি।

১৯৮৫ সালে মেধা তালিকা থেকে ৪৫ শতাংশ, নারী কোটায় ১০ শতাংশ, জেলা কোটায় ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ৫ শতাংশ এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ শতাংশ নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৯৭ সালে এই কোটা ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এর আওতাভুক্ত করা হয়। যোগ হয় ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটাও।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা, নারী, জেলা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা রয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল তা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন