পিএনএস : আগামীকাল ১৬ মে ভাষাসৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক সাদেক খানের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৬ সালের ১৬ মো বারিধারার নিজ বাসভবনে তিনি ৮৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। সাদেক খান স্ত্রী, এক ছেলে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাদেক খান ১৯৩৩ সালের ২১ জুন মুন্সীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ওই সময় তার বাবা সাবেক পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের কার মরহুম আবদুল জব্বার খান মুন্সীগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহের ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে।
সাদেক খান ছিলেন পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তার অন্য ভাই-বোনরা হলেন সাবেক মন্ত্রী কবি মরহুম আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান, প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম এনায়েতুল্লাহ খান, সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান, বর্তমান বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং ইংরেজি দৈনিক নিউএজ প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান বাদল।
মরহুম ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সাংগঠনিক নেতৃত্বের ভূমিকায় লিপ্ত হয়ে কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটির সভা থেকে গ্রেফতার হন এবং একমাস কারাভোগ করেন। ১৯৫৫ থেকে ৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সহ-সম্পাদক পদে কাজ করেন। এরপর তিনি চলচ্চিত্র জগতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন। সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।
সাংবাদিক সাদেক বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকগুলোতে নিয়মিত কলাম লিখতেন। এছাড়াও তিনি টেলিভিশন টকশো ও বিভিন্ন সভা-সমিতিতে জাতীয় ইস্যুতে নিজস্ব চিন্তাধারা ব্যক্ত করতেন। সাদেক খানের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সংগঠনের সভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা যথাযথ মর্যাদার সাথে ভাষা সৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক সাদেক খানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল
আগামীকাল সাদেক খানের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী
15-05-2018 08:21PM